হ্যা আমি সেই সত্যবাদীকে সত্যবাদী মনে করি http://www.youtube.com/watch?v=DabIO_gwRgo
আগে কট্টর ইহুদী ছিলেন। তখন তার নাম ছিল যোসেফ কোহেন। ছত্রিশ বছরের এই যুবক আমেরিকা থেকে ইসরাঈলে গিয়ে স্ত্রী ও চার সন্তানসহ বসবাস করতে থাকেন। ‘সাশ’ নামক ইহুদী আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন। সন্তানদের ছোট থেকেই তওরাত শিক্ষা দিয়েছেন।
দুই. ইউসুফ বলেন, এক রাতের ঘটনা। আমি ইন্টারনেটে কাজ করছি। ঢুকলাম এক চ্যাট রুমে। আমার মতো কিছু ইহুদীর সাথে এক মুসলমানের বিতর্ক হচ্ছিল। আমি সেই মুসলমানের সাথে প্রাইভেট চ্যাট করতে শুরু করলাম।
জানলাম, তিনি আরব আমিরাতের এক মসজিদের ইমাম। ইহুদীরা তর্কের সময় নানা রকম কৌশল ও ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে কোণঠাসা করে। আমিও সেই পথ অবলম্বন করেছি। কিন্তু সেই শায়খকে আমি হারাতে পারিনি। আসলে তিনি ছিলেন সত্যবাদী।
শুরুটা এভাবেই। এই শায়খ আমার বন্ধু হয়ে গেলেন। তিনি আমাকে পশ্চিম জেররুজালেমে তার কয়েক মুসলমান বন্ধুর ঠিকানা দিলেন। আমি তাদের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তারা আমাকে ইসলামের শিক্ষা জানালেন এবং আমি মুসলমান হয়ে গেলাম।
আমি আমার স্ত্রীকে ইসলাম গ্রহণের কথা জানালাম এবং তাকে ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বললাম। সে আমার কাছে কিছু সময় চাইল। আমি তাকে সময় দিলাম। কিছুদিন পরই সে স্বেচ্ছায় মুসলমান হল। তিন. ইউসুফ খাত্তাব পশ্চিম জেরুজালেমের কোর্টে তার স্ত্রী ও চার সন্তাকে নিয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের কথা জানান।
নিজের নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের নামও পরিবর্তন করেন। বড় ছেলের নাম ‘ইযরা’ থেকে ‘আবদুল আযীয’, মেয়ের নাম ‘হিদা’ থেকে ‘হাসীবা’, সেজো ছেলে ‘রোহমাইম’ থেকে ‘আবদুল মজীদ’ এবং ছোট ছেলে ‘ওফাইদা’ থেকে ‘আবদুল্লাহ’ রাখেন। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে ইউসুফ নিজেও মুসলমানদের পোশাক পড়েন এবং তার স্ত্রী পর্দা করেন। তাদের সন্তানরা মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। ইউসুফ এখন শুধু একজন মুসলমান নন, একজন দাঈ ইলাল্লাহও বটে।
তার দাওয়াতে বেশ কজন ইহুদী মুসলমান হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বহু ইহুদী ইসলাম গ্রহণ করে সৌভাগ্যবান হয়েছে। Click This Link ইংরেজি থেকে : আবদুল্লাহ মালিক
-------------------------------------------------------------------------------------
সূত্র: আলকাউসার, ইউটিউব ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।