আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সত্য কথন তিক্ত বচন। সত্য জানা উচিৎ!

রুদ্ধদারে চেতনা বন্দি, স্বপ্নে শকুনীর ডানার গাঢ় অন্ধকারের সর্বগ্রাসী বেগবাণ স্রোতে দিশেহার দীপ্ত জোনাকির আলোর মিছিল! কুটীল দেবতার বর্বর চাল। অশুভশক্তির ক্রমশ হবে উত্থান। আমি অভিমন্ব, জন্ম থেকে জেনে আসা ভবিষ্যৎ এর নির্মম দ্রষ্টা, আমি সিসিফাস, দেবতার বিরুদ্ গল্পোটা বিশ তারিখের, হ্যাঁ আমাকে সেটা গল্পোই বলতে হবে । কেনো বলছি সেটা জানা যাবে শেষের দিকে । বিশ তারিখ সন্ধার দিকে শুরু হয়েছিলো ঘটনাটা।

স্থানঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং। প্রধান চিত্র সিনজি এর ভিতর। পাত্র-পাত্রিঃ একজন মাস্টার্সে পড়ুয়া বড় আপু, তার ডিপার্টমেন্টে পড়ুয়া সেকন্ড ইয়ারের ছোট ভাই আর একজন যার বাবা ভার্সিটির চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রটা বুথ থেকে টাকা তুলে ফিরছিলো। মানে ঘটনাটা ভার্সিটিতে আসার পথে।

সিএনজির ভিতরে বসার পজিশনটা বলা দরকার, সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটা বসে ছিলো একে বারে সাইডে তার পাশে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মোচারীর ছেলে বয়স আনুমানিক ছাব্বিশ কি সাতাশ। তার পাশে বড় আপু। কেউ একজন বড় আপুর বুকে হাত দেয়। অবধারিতভাবে বড় আপু চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । এক পর্যায়ে সিএনজি গতি কমায়, তিনি লাফিয়ে পড়েন ।

লোক জন জড় হয়। সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেটা ভেঁবাছ্যাঁকা খায়। তার পকেটে দশ হাজার টাকা এইটা একটা টেনশন, লোক জন জড় হচ্ছে ...। ছেলেটা ধমকের সুরে বড় আপুকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে । বড় আপুটা তাকে জানায় অন্য যে ছেলেটা ছিলো সে তার বুকে হাত দিয়েছে।

এই বলে তিনি সপ্তমস্বরে চেঁচাতে লাগলেন আবার , মূহহুর্তেই মানুষজন এসে লোকে লোকারন্য। দুজন কেই আটক করে জনতা, নিয়ে আসা হয় ভার্সিটিতে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে, মেয়েটা প্রক্টরের কাছে স্টেইটমেন্ট দেয় চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারীর ছেলেটা তার শ্লিলতার হানী ঘটায়(ছেলেটার একটা নাম দেয়া দরকার, সত্য নামই দেয়া উচিৎ, এই সব রাবিশ বর্বরদের সবাই চিনে রাখা দরকারঃ ছেলেটার নাম মুহাম্মদ আলী)। সাথে সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটাকে বানায় সহযোগি। কাহিনী এই পর্যন্ত এই ভাবে এগোল। তার পরের দিন মামলা হবে ।

রাতের মধ্যেই পরিবর্তন হয় হিসাব নিকাশ। কি রকম , সেকন্ড ইয়ারের ছেলেটা ভার্সিটিতে পলিটিক্স করে , কোন দল করে ? ছাত্রলীগ করে। ওঁকে! তাহলে হিসেব মিলানো সোজা। এইবার ফাঁসানো যাবে ছাত্র লীগ কে । তার পরের দিন মামলা করার সময় , মেয়ের স্বিকারুক্তি বদলে যায়, কি রকম? গত রাতে সে প্রক্টরের কাছে বলেছে “মুহাম্মদ আলী তার শ্লিলতার হানী ঘটিয়েছে , আর আজ মামলা করার সময়ে স্বিকারুক্তি দিয়েছে সহযোগিকে এক নাম্বার আসামী করে।

বুঝা যাচ্ছে কিভাবে পোলিটিসাইড করা হচ্ছে বিষয়টাকে! কারা করছে ? বাম ধারার দল গুলো। কিভাবে বুঝা গেলো তারাই করছে , তারা প্রকাশ্য ছাত্রিলীগের ছেলেটার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করছে আর মেয়েটা যাদের স্বাক্ষি রেখে স্টেটমেন্ট দিয়েছে তারা ছাত্র ফন্টের পোস্টেট ফেইস! তার পরে ? তো একনাম্বার আসামী করে দিলো মামলা ঠুকে , নিয়ে গেলো ছেলেটা কে জেলে। সাথে মুহাম্মদ আলী কে । সহযোগি কিভাবে একনাম্বার আসামী হয়? সেটাই তো প্রশ্ন। এর উদ্দেশ্য কি? কেনো একটা নিরিহ ছেলে কে এই রকম জঘন্য বিষয়ে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয় হলো? রাজনীতি ! বাম ধারার দল গুলা ত ভালো শুনেছি! সেটা ভাই, বহু আগের কথার পুনরাবৃত্তি করছেন আপনি।

সব মাদার চুদ। দেখবেন মুখে খুব ফেনা তুলে ফেলছে আমেরিকার পুঁজিবাদীদের সমালোচনা করে , একটু অন্য মুডে জিজ্ঞেস করে দেইখেন তো ভাই বিদেশে যাইতে চাইলে কোন দেশ আপনার বেশি পছন্দ? বেটা দ্বিতীয়বার আর চিন্তা না করেই বলবে , আম্রিকা! মুহুর্তেই ভুলে যাবে শালে কমিউনিজমে বিশ্বাসি! তারপরে? ছেলেটাকে আমি চিনি ভাই বুঝলেন, ভালো ছেলে, পড়ে সোসিওলজিতে কিন্তু মনটা পড়ে থাকে বাংলায়, লেখালেখি করে যেমনই লিখুক না কেনো, লিখে তো, বুঝলেন ভাই, যখনি দেখা হতো, দেশের কথা বলত, দেশ নিয়া ভাবতো। কেমন বিচ্ছিরি একটা ব্যপারে তারে রাজনীতির শিকার বানানো হলো! তাকে কোর্টে চালান করে দিয়েছে । এই ঘটনার বিরুদ্ধে শনিবারে মানব বন্ধন হবে , হওয়া উচিৎ, আমি বলি। কিন্তু ভাই নির্দোষ ছেলেটার নাম বার বার উচ্চারণ করা হবে ।

ভার্সিটিতে ছেলেটা কে সবাই খুব অন্য চোখে দেখতো। বাউল টাইপ পোলা। শনিবারের মানব বন্ধনে তার ভার্সিটি কেরিয়ার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে । দেখলেন তো রাজনীতি কি ভাবে নিজের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই লেখার জন্য আমারে দিবো ছাত্রলীগের ট্যাগ! কি বাল হইবো আমার ! আমি ত জানি আমি কি! তাদের ট্যাগ্রে আমি কি চুদি নাকি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.