আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-৫
ঢাকায় ডি এ ছাত্রবাস নামের মেসে আমরা যারা জড়ো হয়েছি, তাদের প্রায় সবারই উদ্দেশ্য এক- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। সবার নিশ্চয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হবে না, হয়ও নি। তাই এবার আমাদের বিচ্ছিন্ন হবার পালা।
১৯৯৯ সালে অনার্স ভর্তির জন্য আমার প্রথম পরীক্ষা দিলাম জগা বাবুর পাঠশালায় (সে সময়কার জগন্নাথ কলেজ)।
পরীক্ষাটা আমার কাছে একটা খেলা। বরাবরই আমি তা মনে করি। এ খেলায় ভালো করার সুযোগও আছে, আবার খারাপ।
জগা বাবুর পাঠশালার ভর্তি পরীক্ষা সেবারই এমসিকিউ পদ্ধতির হয়েছে বলে আমার ধারণা প্রশ্ন এত সোজা যে আধ ঘণ্টায় আমার পরীক্ষা শেষ।
নিজেকে যথেষ্ট মেধাবী প্রমান করার জন্য বলছিনা, সত্যই তাই। আমার পরীক্ষা শেষে আশ পাশের বন্ধুদের হেল্প করতে শুরু কলাম। আমি যেহেতু জগা বাবুর পাঠশালায় ভর্তি হবো না, তাই আমার ডর নেই। পরীক্ষক দুবার সতর্ক করে গেলেন। তৃতীয়বার আসলে বলি স্যার বহিষ্কার করে দিন না, শিক্ষক আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি এখানে ভর্তি হবানা, আমি, সোজা বললাম না।
কারণ আমার বাবা বাড়ি থেকে ঢাকা আসার সময় বলেই দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে না পারলে আমাকে নোয়াখালী কলেজে পড়তে হবে। এর বাইরে আর কোথাও তার পড়ানোর ইচ্ছে নেই, সেটা রাকঢাক না করেই বলে দিয়েছেন।
জগন্নাথে পরীক্ষা দেয়ার একটাই কারণ আমার অপেক্ষাকৃত দূর্বল বন্ধুদের হেল্প করা।
আমার সহযোগিতা পেয়ে আমাদের আমিন দোস্ত ইকনমিক্সে চান্স পেলো্। খাদিজা ইংরেজিতে।
আরো অনেকে পছন্দের সা্বজেক্ট পেলো। আমি চাইলে যে কোনো সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারি। কিন্তু হবো কিনা বুছঝতে পারলাম না। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আমার বাবার কাছে ওঠানোর সুযোগই পেলাম না।
জগন্নাথের পর আমার বন্ধুরা সবাই ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের পরীক্ষা দিলাম।
টিকলাম আমরা তিন জন-আলি আজম, কুদ্দুস আর আমি। মেসের বাইরের বন্ধুদের মধ্যে মুস্তাফিজ মামুন এবং আবদুল্লাহ আল ফারুক।
আমার ঘনিষ্ঠতম বলে যাকে আপনাদের বলেছি সেই সামাদ টিকলো শাবিপ্রবিতে। হাবিব জগন্নাথে। আলিমুল হক পাড়ি জমালো মিশরে।
আল আজহারে পড়ে এখন দেশে। এভাবেই আমাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। এবার নতুন জায়গা। মেস চেঞ্জ করে আমরা বকশি বাজারে এসে উঠলাম। সেখানে আবার নতুন বন্ধু-পরিসর।
তা নিয়ে পরের কিস্তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।