আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম আলোর রিপোর্টার আর সাইট মডারেটররা মনে করে আমরা ঘাস খাই! এতদিন ইন্টারনেট ব্যাবহার করি, সাইটের কমেন্ট মডারেশন সম্পর্কে কিছুটা হলেও তো জানি।

আপনি আমাকে পছন্দ করেন কি করেন না তাতে আমার কিছু যায় আসে না, আপনাকে খুশি করার জন্য আমি এ পৃথিবীতে আসিনি। প্রথম আলো পত্রিকা দেশের বেশির ভাগ মানুষ পড়ে এবং তাদের সাইটাও সবচেয়ে ভাল। এই জন্য ভাল লাগুক বা না লাগুক অনলাইনে তাদের পেপার পড়ি। কিন্তু প্রথম আলোর কিছু কাজ অতিরিক্ত রকম বিরক্তিকর। এর মাঝে প্রথমেই বলতে হয় কমেন্ট মডারেশনের ব্যাপারটা।

যদি কারো কমেন্টে খারাপ কিছু থাকে তাহলে সেটা প্রকাশ না করলেই হয়। কিন্তু সেটাকে কাটছাট করে, এমনকি নিজেরাও অনেক সময় কিছু পরিবর্তন করে প্রকাশ করার তো কোন মানে হয় না। বিশ্বকাপের সময় আমি অনেক কমেন্ট করতাম। আমি যখন কমেন্ট করতাম মোটামুটি বুঝিয়ে দুইদিক বিবেচনা করে কিছু লিখতাম। কিন্তু দেখা যেত যেসব লেখা তাদের রিপোর্টের বিরুদ্ধে যাচ্ছে সেগুলা কেটে দিয়ে শুধু পক্ষের কথাগুলো প্রকাশ করছে।

সেটা পড়ার পরে আমার নিজেরই মনে হত আমি পক্ষপাতিত্ব করেছি! কি আজব ব্যাপার। আমার লেখাতে আমি আমার মতামত প্রকাশ করছি, তারা আমার লেখা এডিট করার তো কোন দরকার দেখি না যতক্ষন না আমি কোন খারাপ কথা বলছি বা গালাগালি করছি। আর যদি আমার কমেন্ট ভাল না লাগে তাহলে পুরোটাই ডিলেট করে দিতে পারে, অর্ধেক প্রকাশ করা মানে পুরো বিষয়টা পালটে যাওয়া। আমার কমেন্ট ফেব্রিকেট করার তো তাদের কোন অধিকার নেই। এটা তো একটা ক্রাইম, কারণ ওরা যদি পরিবর্তন করে তাহলে তো সেটা আর আমার কমেন্ট থাকছে না।

আমার নাম দিয়ে অন্য কমেন্ট কেন প্রকাশ করবে? প্রথম আলো সবসময় এই কাজটি করে আসছে। আমি মেইল পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয় নি। প্রথম আলোর কিছু রিপোর্টার মনে করে জনগণ ঘাস খায়। তাদের মধ্যে উৎপল শুভ্র অন্যতম। এই ব্যাটা বিশ্বকাপের সময় সাকিবের বিরুদ্ধে জানপ্রাণ দিয়ে লিখত।

সাকিবের কিছু দোষ আছে বুঝলাম কিন্তু ওই সময় তার বিরুদ্ধে জনগণকে খেপানোর তো কোন মানে দেখি না। মাত্র ২৩ বছর বয়সী সাকিবের উপর দিয়ে তখন কত মানসিক প্রেসার গেছে তা অনুমানের বাইরে। যাইহোক, সাকিবকে অপসারণ করা হল কিছুদিন আগে। এখন এই ব্যাটা দেখি সাকিব বন্দনাতে মত্ত! তার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল সাকিব তার দুলাভাই! আরে ভাই, যে কোন কারণেই হোক সাকিবকে এখন অপসারণ করা হয়েছে, এখন নতুন অধিনায়ককে সাপোর্ট করা আমাদের দায়িত্ব, তা না করে দলে কোন্দল বাধিয়ে কি লাভ? এই ব্যাটা কি বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান দলের মত বানাতে চায় নাকি? পাকিস্তান দলে সেই আদিম কাল থেকে কোন্দল লেগেই থাকত, এখনও আছে। আমাদের দল এমন হোক তা আমরা চাই না।

ভাই ব্যাক্কল শুভ্র, আপনি এবার ক্ষান্ত দেন প্লিজ। এবার আসি কিছু সিরিয়াস ব্যাপার নিয়ে। পরিমল ইস্যুতে ফেসবুক ব্লগ দুনিয়াতে যখন তোলপাড় চলছে তখন প্রথম আলো অনেক কষ্টে একটা রিপোর্ট করল, রিপোর্ট পড়ে পরিমলের দোষের চেয়ে ভিকারুন্নেসার ওই মেয়েটা কি ড্রেস পরে স্যারের বাসায় গিয়েছিল তার বর্ণনাই দেখলাম বেশি! যাইহোক এটা নিয়ে অনেক কাহিনী হইছে, এবার পারসোনা ইস্যুতে তাদের একই আচরণ। এতদিন পরে তারা একটা রিপোর্ট করল, তা পড়ে মনে হচ্ছে পারসোনার কোন দোষই নেই! এটা নাকি ভুল বুঝাবুঝি! একটা কমন সেন্স থেকে বুঝা যায়। মহিলার স্বামী এসে হার্ড ডিস্ক নিয়ে যায়, সেখানে যদি কিছু থেকেও থাকে তারা কি সেটা রাখবে? মনে করেন আপনার রিলেটিভ কারো সাথে এমন হল, হার্ড ডিস্ক আপনার কাছে আছে, আপনি কি সেটা প্রচার করবেন নাকি মুছে ফেলবেন? ভদ্র ঘরের যে কেউ চাইবে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে।

কিন্তু একটা পেপার কেন এতদিন পরে এই রকম একটা রিপোর্ট করবে? তাদের কি উচিৎ ছিল না ঘটনার সাথে সাথে তা জনগণকে জানানো? দেরীতে হলেও তারা একটা রিপোর্ট করেছে, কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করছে তারা নাকি কমেন্ট কাট ছাট করে প্রকাশ করছে। এসব কোন ধরণের ফাজলামি? প্রথম আলো পেপারটার উপরে আসলেই হতাশ আমি। দেশের ১ নম্বর পত্রিকা যদি এই ধরণের ঘটনা ফেব্রিকেট করে প্রচার করে তাহলে আর কিছু বলার থাকে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.