কিছু বলার নাই:: অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক আবুল হোসেন শিকদারের বেশির ভাগ সার্টিফিকেটই জাল ও ভুয়া। তার অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডির সার্টিফিকেট জাল ও ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে তদন্তে। প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলেও বর্তমানে আবুল হোসেন শিকদার ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন তার বেশির ভাগই ভুয়া ও বানোয়াট। ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী, পরিচালক সামছুল আলম ও সহকারী পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা। এ কমিটি তার সনদগুলো যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পান। তারা ২০১২ সালের ১৪ই মার্চ তদন্ত রিপোর্টে জমা দেন। বর্তমান প্রো-ভিসি ২০০৬ সালে ভারতের রাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের কথা উল্লেখ করলেও তদন্ত পর্যন্ত সনদপত্র পাননি। এছাড়া ২০০৮ সালে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাস থেকে তিনি আরেকটি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অথচ ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিরই কোন সনদ নেই। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করলেও বলেছেন, ২০০৬ সালের কথা। অথচ ২০০৬ সালে তিনি একটি পিএইচডি করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি কিভাবে এমবিএ ও পিএইচডি করলেন? তিনি ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়’র বাংলাদেশ ক্যাম্পাস থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জনের কথা উল্লেখ করেন, অথচ তা অর্জন করেন ২০০৯ সালে।
এটিও বাংলাদেশে অনুমোদিত নয়। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অর্জনের কথা উল্লেখ করলেও ঢাবি’র রেকর্ডবুকে দেখা যায় তিনি ১৯৮০ সালে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২৭তম স্থান অর্জন করেন। একইভাবে মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান উল্লেখ করলেও তিনি ৩০তম স্থান পেয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এভাবে প্রতিটি সনদের বিপরীতে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় প্রো-ভিসিকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ১৬ই অক্টোবর ওই শোকজ করা হয়। সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ভিসি আবুল হোসেন শিকদার বলেন, এ সংক্রান্ত বক্তব্য আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।