আমার ভুবন কান পেতে রয় ... ... দ্বীপ নিভে যায় সকলই ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া
আজ থেকে ১শ' বছরেরও বেশি আগে আলবার্ট আইনস্টাইন পদার্থ বিজ্ঞানে একটি বিশেষ স্বীকার্য স্থির করে গেছেন আর সেটা হচ্ছে শূন্য মাধ্যমে আলোর গতি হচ্ছে পরম গতি অর্থাৎ কোন কিছুই এর চেয়ে বেশি গতিতে ভ্রমণ করতে পারবে না। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন তার বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রণয়ন করেন আর এরই মৌলিক স্বীকার্যগুলোর একটি হলো গতির সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে শুন্য মাধ্যমে আলোর গতি।
কিন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর জেনেভার সার্ন গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা চমকে দেয়া একটা গবেষণার ফলাফলের কথা জানিয়েছেন। যেটা সত্য হলে পদার্থ বিজ্ঞানের বর্তমান অনেক নিয়মই হয়তো পাল্টে যেতে পারে।
এই গবেষকরা দাবি করেছেন তারা একটি নিউট্রিনো কনাকে আলোর গতির চেয়েও বেশি গতিতে ভ্রমণ করাতে সক্ষম হয়েছেন।
গবেষকরা আমেরিকা এবং জাপানের বিজ্ঞানীদের আহ্বান করেছেন গবেষণাটি খতিয়ে দেখতে। আর খতিয়ে দেখে বিষয়টি সুনিশ্চিত হলে তবেই এটিকে একটি নতুন আবিষ্কার বলে গণ্য করা হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফলটি বিশ্বব্যাপী পদার্থবিদদের দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। এটির যথার্থতা নিশ্চিত হলে এমনকি পদার্থ বিজ্ঞানের অন্যতম বিখ্যাত সমীকরন ঊ=সপ২ পর্যন্ত বদলে যেতে পারে। তবে এখনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি।
এই গবেষণায় ভূ-পৃষ্ঠের মধ্য দিয়ে নিউট্রিনো কনা সার্ন থেকে ৭৩২ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত ইটালির গ্রান স্যাসো ল্যাবরেটরিতে প্রেরণ করা হয়।
সার্ন গবেষণাগার থেকে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটির রচয়িতা এন্টনিও ইরিদিতাতো বলেন, আমরা ফলাফলটির সকল সম্ভাব্য ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা করেছি। এমনটি আমরা সম্ভাব্য ভুলগুলোও খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরকম কোনকিছুই আমরা খুঁজে পাইনি।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের প্রফেসর জেনি থমাস এ প্রসঙ্গে বলেন, গবেষণার ফলাফলটি সত্য হলে পরিস্থিতিটা কি হবে তা চিন্তা করাও কঠিন।
কারণ এটার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব। আর এটা এমনই একটা তত্ত্ব যার উপর ভর দিয়ে গড়ে উঠেছে আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানর অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয়। আমরা বিশ্বজগতের গঠনটাকে যেমনভাবে বর্ণনা করেছি তার অনেক কিছুই এর সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই ফলাফলটি সত্য হলে এতে এসবের ওপর কি প্রভাব পড়বে তা অনুমান করাও অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আরও বেশি সূক্ষ্মভাবে গবেষণাটি আবার সম্পন্ন করা হবে।
এরপর ফার্মিলাবের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাটির দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করবেন। যার সূক্ষ্মতার মাত্রা হবে ১ ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।