আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি মডেল দিয়েছেন। এই মডেল অনুসারে, বিশ্ব তখনই শান্তিপূর্ণ হবে যখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য দূরীকরণ, বঞ্চনার লাঘব, ঝড়ে পড়া মানুষদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ত্বরাম্বিত করা এবং সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন সম্ভব হবে। তেমন কোনো নতুন আইডিয়া এতে নেই। সব টিপস সবারই জানা। কিন্তু এইভাবে উপাস্থাপনাটি নতুন ও খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ব নেত্রীবৃন্দের যারাই এই মডেল সম্পর্কে শুনেছেন বা শুনবে্ন তারা মনে মনে একটু হলেও কি হাসবেন না এই চিন্তা করে যেঃ বাংলাদেশ তার নিজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই রকম টিপসগুলো ভালো ভাবে প্রয়োগ না করে কিভাবে জাতিসংঘে উপস্থাপন করে! আমি জানতাম কেউ যদি কোনো সমস্যা সমাধানে কোনো বিশেষ উপায় অবলম্বন করে সফল হয় তবেই তার সেটি সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়। নিজের সমস্যা সমাধানে এই প্রস্তাবিত উপায় প্রয়োগ না করে অপরকে এই উপায়গুলি প্রয়োগ করার উপদেশ দিলে শুনতে হয়তো ভালোই লাগতে পারে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইবার দেশে ফিরে তার দেওয়া প্রস্তাবগুলো প্রয়োগ করবেন এবং পরের বছর জাতিসংঘের ভাষণে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। এতে বিশ্ব নেত্রীবৃন্দ তার কথা একটু হলেও শুনবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে আরেকটা নোবেল শান্তি পুরস্কারও আমরা পেয়ে যেতে পারি!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।