নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই ১
ড. স্যামের সঙ্গে পরিচয় পাঁরীতে । রো আর্স স্ট্রীটে তাকে এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে তার সঙ্গে কথা হয় । সে বহু আগের কথা। আমি তখন ফ্রাঙ্কফুর্টে গেছি দপ্তরের খরচে। ট্রেনে ফরাসী দেশে যাওয়ার সূযোগ হাতছাড়া করি নি কখনো।
মনেও নেই সেই সেতুর নাম। সেতুমাত্রিক পাঁরীর রাস্তাঘাটগুলো মানচিত্রকর ছাড়া কেউ মনে রাখতে পারে না। মঞ্চে হিস্টোরী সভ্যতা নিয়ে তুমুল বক্তৃতা শোনার পর হেটে ফেরার পথে বক্তাকে দেখে ফেলব স্বপ্নেও ভাবি নি। লোকটিকে আট দশজন ডক্টরেট ধারী গম্ভীর মানুষের মত ছিল না। নিজের আগ্রহেই আমার দেশের কথা শুনেছেন।
তারপর তার ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেন। বিপত্নীক মানুষ। এখন ঠিক মনে পড়ছে না
বাড়িটা কি টাউনহাউজ ছিল না দুই তলা।
আমি প্রায় বছর খানেক পত্র বিনিময় করেছিলাম। ঢাসা পিঁপড়ার আকারে অক্ষরে বাঁকা হাতের লেখাটা পরিচিত হল।
তারও বেশ পরের কথা। ততদিনে ফেসবুকের যুগ পার হয়ে গেছে। মোবাইলে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্স, ছবি।
একদিন হঠাৎ পেলাম তাকে। ফের পরিচিত হলাম।
একটা ছবি পেলাম স্যামের। চুল পেকে গেছে মাথার। আমি অবশ্য ভিডিও বুঝি কম। তার ছবি দেখলাম।
নোনায় ধরা একটা দালানের সামনে বসে আছেন।
-সিফাতুন
-আপনের জন্য বসে আছি ( ইংরেজিতে বলা)
-৩ মিনিট সময় দিলাম বুঝিয়ে বলবেন।
-আগে শোনেন, আমি স্বপ্ন দেখেছি এরকম
২
ঘুমের ভেতর আমাকে ডাকছিল কেউ। জবাব দিতে টের পেলাম সুতী ন্যাপকিনকে রোল করে মুখে গুঁজে দিয়েছে কেউ। জেগে উঠে অসহায়ত্ব অনুভব করে ঘুমিয়ে যেতে চাইলাম। কালো চাদরের ভেতর থেকে একটা লোমশ হাত বের হয়ে ঢুকে যায়।
পায়ের শব্দ পাই। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে থাকছিল ওরা। নামছে তো নামছেই। পাতালের গোল তন্দুরীতে মুখে গিয়ে সিঁড়ি থামে। কয়েকজন ঝাপিয়ে নেমে যাচ্ছে আগুনে।
মাথার উপর বড় হাতার একটা ফ্যান পাখা করছে। পাইছেন?
না
ভাতের ফেন সিঁড়িতে ঢেলে দিচ্ছে কেউ। ভাত ফুটেছে তার বক বক শব্দ এড়াতে পারি নি। মেটালিক শব্দ করে সিলভারের গামলা নিচে গড়িয়ে নামে লিলিপুটের মত ফায়ারব্রিগেডের কর্মীরা। করাত কল বসেছে কোন তলায়।
চেরাই কাঠের আওয়াজ। রেলিং ধরে দেখলাম। একজোড়া স্বাস্থ সচেতন মানুষ দৌড়ে গেল জগিং করতে করতে করতে ফটক দিয়ে নেমে গেল
ঐ মজনু, পাইসস ঐটারে?
না
চাইনিজ রাইফেলের গুলিতে ঠাস করে শব্দ হতেই সঙ্গে সঙ্গে একটা কাতর কণ্ঠ ডাকল - মা, মাগো। সাগর পারের উদাত্ত আহ্বানের মিলিয়ে গেল, মা.তারপর নেই কিছু।
৩
ঘণ্টা দুই পর ঘুম ভাঙল কলিং বেলের শব্দে।
দরজা খুলে দিতেই লোকটা লম্বা সালাম দিয়ে বলল,
এই যে, হুজুরের খানা
ধপধপে সাদা কাপড়ে ঢাকা তার দেহ। আজানুলম্বিত পাঞ্জাবী। দুপাশে দুটো সরু হাত ঝুলে আছে। বালকের এক হাতে টিফিন ক্যারিয়ার।
-দাঁড়াইতে হইব ২ মিনিট।
কাজের মেয়েটি বলল। ভিতরে ঢুকতে দিল না।
স্বপ্নের ভেতরই দেখি বাবার ঘুম ভেঙে গেছে। সাদা গেঞ্জিতে লোমশ বুক খোলা রেখে বিছানা থেকে উঠে এলেন। কে আইসে মজনু?
জামে মসজিদের পাতি হুজুর।
কই?
বাইরে বসে।
দাঁত কামড়ে তিনি বললেন, তারে ভিতরে বইতে দে।
স্বপ্নের এ পর্যায়ে আমি পোষাক বদলে ফেলি।
ড. স্যাম শুনে বলল
-কি রকম? আগে বুঝে নেই
-আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু একটা বস্তির ভেতর যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দ হচ্ছিল।
স্বপ্নে নাকি গন্ধ পাওয়া যায় না। কিন্তু পাচ্ছিলাম। বাবা মাকে ও চেনা লাগছিল না। তবে ওটা আমিই
ঝিঁ ঝিঁ পোকার মত শব্দ করে কেউ চিৎকার করে ডাকছিল
-উইঠ্যা আয়। উঠ! বলদের বাচ্চা
-ক্যান? ( আমি বললাম)
-তোর বাপরে রেব ধইরা নিছে।
-নেউক আমার শইলে জ্বর। আমি নড়তে পারুম না। আমি বলছিলাম।
এর বেশী মনে নেই। আমি থামলাম।
-সিফাতুন
-জি বলেন বস, স্যামের ভিডিওর দিকে তাকিয়ে বললাম
-আপনার ডাক নাম কি ছিল?
-জানি না, তবে মজনু না।
-হুম, বুঝতে পেরেছি। আগামী কাল রাতে যা দেখবেন ভোরে উঠে লিখে আমাকে পাঠাবেন।
ঠিক আছে। আমি অবশ্যই সেটা করব।
কিন্তু ঘুম আসলে সেটা হবে।
ড. স্যামের উপর আমার আস্থা কমে যাচ্ছিল। হয়তো বয়স হয়েছে তার। আর আমিও অনেক কিছুই বুঝতে পারি নিজেই।
---
ড্রাফট ০.৫
বহুদিন ধরে এটা পড়ে আছে নোটপ্যাডে।
একেবারে অসংলগ্ন অবস্থায় আছে। আজ মনে হল এটাকে পরিত্যাক্ত না করে, বরং পাঠকদের কাছ থেকে এটার সমাপ্তি নিয়ে পরামর্শ নেই। আপনার আইডিয়া দিতে পারেন ১) কিভাবে শেষ হতে পারে
২) কি ভাবে বদলে দিলে গল্প হবে।
একাধিক পরামর্শ নিতে পারি। ভাল না লাগলে নাও নিতে পারি।
প্রথম বারের মত মন্তব্য মডারেট করছি যাতে পরামর্শগুলো একে অন্যকে প্রভাবিত না করে।
মন্তব্য - এই ইমেইলেও পাঠাতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।