যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আপত্তি এবং ভেটোর হুমকি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আববাস গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চেয়েছেন। অর্থাৎ সার্বভৌম ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের মর্যাদা চেয়েছেন। গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তিনি এ ব্যাপারে তার আবেদনপত্র হস্তান্তর করেন। মাহমুদ আববাস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনীদের বিষয়টি জাতিসংঘের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই বিরোধটির সমাধান করতে পারে সে জন্য ফিলিস্তিনীরা চায় আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে।
’’ একটি ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র গঠনের পথে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দখলদারপক্ষ ফিলিস্তিনীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। ’’তিনি আরো বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ ইসরাইলের বসতি নির্মাণের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া। ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র গঠিত হতে হবে। আর এ রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুসালেম। মাহমুদ আববাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন যদি মনে করেন, আবেদনটি ঠিক আছে তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ সেটি পরীক্ষা করে দেখবে।
আবেদনটি পাশ হতে পরিষদের ১৫টি সদস্যের কমপক্ষে ৯টির সমর্থন প্রয়োজন। তবে কেউ ভেটো দিলে চলবে না। আর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদদাতারা বলছেন, ওয়াশিংটনকে হয়তো ভেটো দিতে নাও হতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল চেষ্টা চালাচ্ছে পরিষদের সদস্যরা হয় ফিলিস্তিনীদের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ভেটো দিক নয়তো ভোটদান থেকে বিরত থাকুক।
মাহমুদ আববাস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার আগে তার প্রস্তাবের সমর্থনে ফিলিস্তিনীদেরকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার আহবান জানালেও অধিকৃত ভুখন্ডে কিছু সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমতীরে ইসরাইলী নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে একজন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্যদুটো জায়গায় ফিলিস্তিনী তরুণদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। -আর কতকাল চলবে এই বেদনাদায়ক যুদ্ধ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।