বিচার বিভাগের কাজ ও আদালতে মামলার জট নিয়ে শনিবার বিচার বিভাগের কড়া সমালোচনা করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তাকে অন্যের সমালোচনার আগে নিজের ঘর সামলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিচারবিভাগ হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটার মতোই স্বাধীনতা পেয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে বিচার বিভাগ আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে আমার জানা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিচার ব্যবস্থা অচিরেই ভেঙ্গে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
বিচারকরা ঢাকায় চলে আসার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উশখুশ করতে থাকেন। ছুটি কাটিয়ে তারা রোববার ফিরে গিয়ে দুপুর ১২টার আগে কাজ শুরু করতে পারেন না।
সময় মতো কাজটি করলে প্রতিদিনই একেকজন বিচারক আরও এক ডজন মামলার বিচার সম্পন্ন করতে পারতেন।
বিচারকদের সমালোচনায় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তারা কেবল চাকরি করেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের কোনো মন নেই।
সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কিছু করেছেন বলে আমার জানা নেই, মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, নিয়মিত পরিদর্শন না করে বছরে দু’এক বার যান সেখানে ভালো খাওয়া দাওয়া হয়.. গিফট দেওয়া হয়।
মামলা নিয়ে ভাবার সময়ও বিচারকদের নেই বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রীর কড়া সমালোচনার জবাবে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বিচারবিভাগ হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটার মতোই স্বাধীনতা পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় আইনমন্ত্রী আপনার ঘর আগে সামাল দেন। আপনার দায়িত্ব আগে পালন করেন। বিচারকরা অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের জাজ সাহেবদের গাড়ি নেই রাস্তার মধ্যে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, গাড়ি ঠেলতেও হয়.. এটা কি আইনমন্ত্রী জানেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এসি রুমে বসে কাজ করেন তারা বিচারকদের এ কষ্ট বুঝতে পারবেন না। প্রচ- গরমের মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। চার জন ম্যাজিস্ট্রেটকে এক কক্ষে বসতে হয়। চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য একটি বাথরুম রয়েছে। ’
বিচার কাজ পরিচালনায় চার জন ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি আদালত ব্যবহার করতে হয় জানিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এর জবাব কে দেবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।