তবে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী তীরবর্তী ওইসব এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে, সোমবার বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা মো. আসাফুদ্দৌলা জানান, জেলার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার নিচে চলে এসেছে। কিন্তু পানি কমলেও নদীর তীর ভাঙছে ব্যাপকভাবে।
পাউবোর প্রকৌশলী জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, বেলকা ও তারাপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া, ফজলুপুর, উড়িয়া ও গজারিয়া এবং সাঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন, হলদিয়া, ঘুড়িদহে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী ভাঙন রোধে বরাদ্দ না থাকায় কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলেও জানান প্রকৌশলী রেজাউল।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া এবং ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ম-ল পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
তারা হল- কাপাসিয়া ইউনিয়নের উজান বুড়াইল গ্রামের ছকমল হোসেনের ছেলে ফেরদৌস হোসেন (৪) ও এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের আলগার চর গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার (৫)।
জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় পেটের পীড়া ও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটেছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এস এম আব্দুল জলিল।
তিনি জানান, এসব এলাকায় ২০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।