২৫০০ লাশ? - একটি গাণিতিক বিশ্লষণ
আমার এক ফেসবুক বন্ধু একটি ছবি শেয়ার করেছে। ছবিটিবলছে ৫ই মের রাতে ঢাকায় নাকি ২৫০০ লোককে হত্যা করা হয়েছে। পরদিন বিএনপি ঠিক একই রকম দাবি করেছে - বলছে নিহতের সংখ্যা ২৫০০থেকে ৩০০০। এবার আসুন অতি সহজ গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করে দেখি ব্যাপারটা আসলেই সম্ভব কিনা।
যদি ২৫০০ লোক মারা যায় তবে এবং একজনকে গুলি করে মারতে অন্তত ১০ সেকেন্ড সময় লাগে ( একগুলিতেই সবাই মরবে এমন কোন কথা নেই)পুলিশকে তাদের গুলি করে মারতে ২৫০০০ সেকেন্ড সময় লাগবে, ২৫০০০/৩৬০০ মানে প্রায় ৭ ঘন্টা।
৭ ঘন্টা ধরে তান্ডবলীলা চলল আর একটা লোক জানতে পারল না কিছু শুনলনা? সব লোককে একসঙ্গে মেরে ফেলা হয়েছে বলতে চান? তাহলে ২৫০০ পুলিশকেলাইন ধরে দাঁড়াতে হবে, অন্তত ২৫০০ ফুটচড়া রাস্তার প্রয়োজন , ঢাকার রাস্তা এত চড়া হল কবে? তারপর এত লাশ কোথায় তোলা হল, কিকরে তোলা হল? একজন গড়পড়তা মানুষ প্রায়৭ বর্গফুট জায়গা দখল করে সে হিসাবে ২৫০০ লাশ পরিবহন ২৫০০X৭ = ১৭৫০০ বর্গফুট তার জন্য অন্তত ৩৫০টা ট্রাকের প্রয়োজন, একজনের উপর আরেকজন রাখলেও ২০০ ট্রাকেরদরকার, এত ট্রাক কোথায় ছিল? ট্র্যাফিক জ্যাম হলনা কেন?
এত লাশ কখন ট্রাকে তোলা হল? একটি লাশ ট্রাকে তুলতে ৫ মিনিট সময় লাগলেো ৫০ জন মানুষের ২৫০০ লাশ তুলতে লাগবে ৮ ঘন্টারও বেশী
এত লাশ কোথায় গেল? কবর দেয়া হয়েছে? আলাদা করে সুসজ্জিতকবরের কথা বাদ দিলাম, গণকবর যদি খোড়া হয় তাহলে ২০,৬২৫ ঘনফুট জায়গার প্রয়োজন হবে কারণ একজন মানুষ গড়ে ৮.২৫ ঘনফুট জায়গা দখল করে ২০৬২৫ ঘনফুট মানে হচ্ছে ১০০ ফুট লম্বা, ৫০ ফুট চওড়া ৪১ ফুট (৪ তলা বাড়ীর সমান উচ্চতা) গভীর এক বিশাল পুকুর। এত বড় একটা পুকুর খনন করা হল অথচ এক কোটিঢাকাবাসীর কেউ জানলনা? বাংলাদেশের শ্রমিক প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ ঘনফুট মাটি কাটতে পারে। সে হিসাবে ২০,৬২৫ ঘনফুটের একটি পুকুর কাটতে ৫৯০ শ্রমঘন্টার প্রয়োজন ৫০ জন শ্রমিক একসাথে কাজ করলেও ১২ ঘন্টার কমে তা সম্ভব না। এতজন গোরখোদক কখনকিভাবে ভাড়া করা হল? কি পরিমাণ মানি, পানি, বিরিয়ানি দিয়ে তাদের আপ্যায়নকরা হল? কেউ জানল না কেন?
যত্তসব মূর্খ, অপদার্থ, অকর্মণ্য সাংবাদিকের দল(?), কেউ কিচ্ছু জানে না,জানে শুধু 'আমার দেশ'আর দিগন্ত টিভি
বুঝলেন পাঠকগণ এই হচ্ছে হেফাজতি, জামাত শিবির ছাগুদের ভন্ডামি, ধর্মব্যবসায়ীদের স্বরূপ।
এরা যুক্তি, বিবেক সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধির ধার ধারে না, পারে শুধু যুক্তিহীর তর্ক করতে, কোমলমতি শিশুদের বেহেশতী সুখ আনন্দের লোভ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে।
এরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করে, বিজ্ঞান প্রযুক্তির সমস্ত সুবিধা গ্রহণ করে (হেলিকপ্টারে চড়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা They are not Amish) আর অন্যদিকে দেশকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নিয়ে যেতেচায়। গুজব ছড়ায় চাঁদে সাঈদির ছবি দেখা যায় ইত্যাদি।
এই অন্ধতা থেকে দেশ কবে মুক্ত হবে?
এতকিছুর পর আমরা স্বপ্ন দেখি শুভবুদ্ধির জয় হোক!তৈরি হোক জ্ঞানভিত্তিক সমাজ
জয় আমাদের হবেই!
>>>> এক লক্ষ দশহাজার মুরগীর গল্প ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।