শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর পানি সুষম বণ্টন না হওয়ায়, ভাটি এলাকায় সেচ সংকটে পড়েছে দুই হাজার ৫০০ একর বোরো আবাদ। এলাকাবাসী দ্রুত পানির সুষম বণ্টন চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চেল্লাখালী নদীতে স্লুইসগেটের (জলকপাট) মাধ্যমে তিনটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার একর জমি সেচ সুবিধা পেত। কিন্তু ২০১২ সালে পানির তোড়ে স্লুইসগেটটি ভেঙে যায়। ফলে বোরো মৌসুমে কৃষকরা সেচ সংকটে পড়ে।
গত ২৫ ডিসেম্বর নন্নী উত্তরবন্ধ এলাকার কৃষকরা নদীতে পানি মজুদ রাখার জন্য ৬০ হাজার টাকা খরচ করে বালুর বাঁধ দেয়। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে পানির তোড়ে সেই বাঁধও ভেঙে যায়। ফলে নদীর ভাটি এলাকা পানি শূন্য হয়ে পড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে, চেল্লাখালি নদীর উজানে ডিজেল চালিত ১১টি ও বিদ্যুৎ চালিত তিনটি পাম্প বসিয়ে সেচ দেওয়া হচ্ছে। ফলে পোড়াগাঁও ও নন্নী ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের ১২ শতাধিক কৃষকের আবাদ করা দুই হাজার ৫০০ একর জমির পানি শুকিয়ে গেছে।
এ সময় কৃষক মো. আবদুল হাই বলেন, তিন একর জমিতে বোরো আবাদ করছি। পানির অভাবে খেত মইরা যাইতাছে। নদীর পানি বণ্টনের জন্য একটা সেচ কমিটি জরুরি। কৃষক মো.আতাহারুল ইসলাম লাভলু বলেন, প্রতি বোরো মৌসুমে পানি সংকট দেখা দেয়। উজানে বাঁধ দিয়ে পানি তোলায় ভাটিতে পানি নেই।
দ্রুত সমাধানের জন্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, উজানে বেশ কয়েকটি পাম্প চলায় ভাটিতে সেচ সংকট হয়েছে। উজানের পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবা আইরীন বলেন, কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। দুই পক্ষকে নিয়ে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।