গফরগাঁও কে বিশ্বের মাঝে উপস্হাপন করতে চাই ওয়াশিংটন, ১৯ সেপ্টেম্বর : ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির হারে এ খাতে দুই ধাপ পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (আইডিআই) অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৩৭তম।
জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ‘ম্যাজারিং দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি ২০১১’- শিরোনামে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৫২টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তির একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনটির কথা গত রোববার জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। প্রকাশিত ইনডেক্সে উপরের দিকে রয়েছে অধিক আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন অর্থনীতিতে বিশ্বের সবচে অগ্রসর জাতির নাম দক্ষিণ কোরিয়া। এর পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইডেন। ইনডেক্স পয়েন্ট অনুযায়ী আইসল্যান্ড তৃতীয়, ডেনমার্ক চতুর্থ এবং ফিনল্যান্ড রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে।
শীর্ষ দশে থাকা অপর দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে হংকং, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং বৃটেন।
এদিকে প্রকাশিত আইডিআই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। আর বাংলাদেশের নীচে রয়েছে তানজানিয়া, জাম্বিয়া, উগান্ডা এবং আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো।
অবশ্য ২০০৮ সালে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৫। তুলনামূলক তথ্যানুযায়ী, গত তিন বছরে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে নানাবিধ আলোচনা ও কাজ হলেও বিশ্ব-উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির বিচারে পিছিয়ে গেছে দুই ধাপ।
প্রতিবেদন মতে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ১০৫, ভারত ১১৬, ভুটান ১১৯, পাকিস্তান ১২৩ ও নেপাল ১৩৪তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া আইসিটি ডেভলপমেন্ট সূচিতে বিগত বছরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে সৌদিআরব, মরক্কো, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশের আইডিআই ইইনডেক্স প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উন্নতি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমে যাওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিতে সবাই কমবেশি অগ্রসর হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে যুৎসই সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করা গেলে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরে বেশি দ্রুত উন্নয়ন করা যেতে পারে।
পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অন্য কিছু দেশের তুলনায় একেবারে সস্তা এবং বেশি সহজলভ্য হওয়ায় এটা নতুন করে ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি করবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, যাদের তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট যত বেশি শক্তিশালী তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় আরো অনেক বেশি এগিয়ে যাবে।
অপরদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেট গতির পরিমাণ খুবই কম এবং তারা প্রায়শই বিজ্ঞাপনে যে গতির কথা বলে থাকে কার্যত সেটা গ্রাহককে দেয়া হয় না বলে গবেষণা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এই গ্রহের শতকরা ৪৬ শতাংশ (প্রায় ২৫০ কোটি) মানুষের বয়স হলো ২৫ বছরের নীচে। উন্নয়নশীল দেশে এদের মাঝে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে পারলে তাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৫২টি দেশের মধ্যে তাদের তথ্যপ্রযুক্তির এক্সেস, ব্যবহার এবং দক্ষতাকে পরিমাপ করে সেটা বিগত ২০০৮ এবং ২০১০ সালের ইইনডেক্সের সঙ্গে তুলনা করে আইডিআই তৈরি করা হযেছে।
প্রতিবদনে জিডিপিতে উন্নয়ন হার এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন সূচক সমামত্মরাল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।