সব কিছুর মিলনে আমার জীবন।
শিক্ষা খাতে আইসিটির ব্যবহার বলতে যে কম্পিউটার দিতে হবে, তা নয়। বরং ভূগোলের বিভিন্ন বিষয়, অঙ্কুরোদগম ইত্যাদি অ্যানিমেশন করে তা টিভির মাধ্যমে খুব কম খরচেই দেখানো সম্ভব। ইহার আওতায় শুধু বাধ্যতামূলক কমপিউটার শিক্ষাই অর্ন্তভুক্ত নয়, এতে আছে শিশুশ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব পাঠ্য-বিষয়কে ইন্টারেকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারে পরিণত করা। প্রতি শিশুর হাতে কমপিউটার এবং প্রতি ঘরে ইন্টারনেট এ কর্মসূচীর আওতায় থাকবে।
আজকাল পাঠ্যপুস্তক প্রকাশে জটিলতার জন্য পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সব পাঠ্যপুস্তককে ই-বুক হিসেবে ওয়েবসাইটে দিতে পারে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া মোবাইল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন এডুকেশনাল কনটেন্ট তৈরি করা যায়, যাতে করে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
তথ্য-প্রযুক্তির সাথে শিক্ষা খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে যদি বিনিয়োগ না বাড়ে তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির অন্যান্য খাতের বিনিয়োগই ব্যর্থ হবে। ভারত যেখানে সফটওয়্যার রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেখানে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে, যার একমাত্র কারণ হয়েছে যুগোপযোগী শিক্ষার অভাব।
তাই দেশ তথা জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এক সারিতে কাধে কাধ মিলিয়ে প্রযুক্তি শিক্ষায় বাধার সব পাহাড়কে ডিঙিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে; না-হয় আমাদের সব আয়োজন বিফলে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।