রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র রিকটার স্কেলে ছয় দশমিক আট মাত্রার বেশ দীর্ঘস্থায়ী একটা ভূমিকম্প জানান দিয়ে গেলো, বাংলাদেশে সে ভালোভাবেই আঘাত হানবে আবারো সময়-সুযোগ পেলেই, কে জানে কখন দুমড়ে-মুচড়ে দিবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট বাংলাদেশ কে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার আমলারা কখনো জনগণের কথা ভাবেন না। তারা ব্যস্ত ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে, যুক্তরাষ্ট্র-সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে, ওমরাহ্ পালন নিয়ে, উইকিলিকস মিথ্যা সেটার প্রমাণ নিয়ে... কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই ছোট্ট দরিদ্র দেশে ভূমিকম্প কী পরিমাণ জানমালের ক্ষতি করতে পারে? মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী-গডফাদারদের পরিবার হয়তো বিদেশে থাকেন, কিন্তু আমাদের যারা সবাই দেশে আছি, তাদের পরিবারের কী হবে? স্বার্থের বাইরে এসে তারা কী ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুর্যোগ মোকাবেলার। কয়দিন আগে মেসি আসলো, ফুটবল ম্যাচ হলো, টাকা দিয়ে টিকেট কেনা হলো... ঐ টাকাটা বা এ ধরণের উদ্যোগে ব্যয়িত টাকা কী ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক দুর্যোগের উন্নয়ন তহবিলে ব্যয় করা যেতো না? এতটাই নিকৃষ্ট আমরা যে নিরস্ত্র হয়েই যুদ্ধে নামতে চাই, ভেবেও দেখি না আমাদের কাপড়ের নিচে ছুরি তো দূরের কথা, আন্ডার ওয়্যারটাও ঠিকমতো নাই! গত কয়েক বছরে এ ধরণের ভূমিকম্প মানুষ দেখে নাই। এর আগেও ভূমিকম্প হয়েছে, সেগুলো মোটেও হেলাফেলার বিষয় ছিলো না।
কিন্তু এবার সময় এসে গেছে। হয় আন্দোলন, না হয় অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর উচিত কড়া নির্দেশ দেবার এবং কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার। কাল থেকেই শুরু করে দেয়া উচিত তদারকি কাজ। ভূমিকম্পের ব্যাপারে সতর্কতা জারিকরণ, প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি যেমন ক্রেইন, মাটি খোঁড়ার যন্ত্র প্রভৃতি জনগণের স্বার্থে ক্রয় করা।
অনেক টাকা তারা অকাজে ব্যয় করেন। কিছু জিনিস যেগুলো একান্ত প্রয়োজন সেগুলো দেশের ও জনগণের স্বার্থে কেনাটা জরুরী। দেশ নিয়ে, মানুষ নিয়ে চিন্তা নাই অথচ দেশের রাজা হয়ে লাভটা কী? তাদের নোংরা স্বার্থরক্ষার বলি যেন না হতে হয় ১৬ কোটি মানুষকে... এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। নতুন করে তো আর ভুয়া কাঠামোতে তৈরী বিল্ডিং তৈরী করা সম্ভব না। যেটুকু সময় আছে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে হেফাজত করুন দুর্যোগের হাত থেকে। ১৬ কোটি মানুষকে বাঁচাতে হবে। একজনও যেন এই ভয়াবহ দুর্যোগে কষ্টে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ না করে। দয়া করে ধর্মীয় অজুহাত দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। কয়েকদিন আগে আপনাদেরই একজন মন্তব্য করলো, তারেক-মুনীরের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো ধর্মমতে।
এভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে অশিক্ষিতের মতো ব্যাখ্যা আমরা চাই না। আমরা স্বচ্ছতা চাই। জনগণের নিরাপত্তা চাই। তা না হলে আমরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।