প্রথম সম্ভবত প্রথমআলোতে কিডনী বেচা নিয়ে একটি রিপোর্ট ছাপে। ব্যাস, শুরু হয় সকল মিডিয়াতে তোলপাড়। আজ দেখলাম তুষার আবদুল্লার একটি বিরাট টিভি রিপোর্ট। উত্তরাঞ্চলের এক গ্রামে নাকি প্রায় ২০০ লোক কিডনী বিক্রয় করেছেন, তারা টাকা বেশী পায়নি, দালালরা টাকা মেরে দিয়েছে, তারা ভূয়া নিকতাত্মীয় সেজেছে..... ইত্যাদি ইত্যাদি..... এটা কি এতই বড় একটি বিষয় যে পত্রপত্রিকা, টিভিতে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে? মূল বিষয়টা কি? মূল বিষয়টা হলো অভাব। অভাবের তাড়নায় তারা নিজের জানের মায়া ত্যাগ করে কিডনী বিক্রয় করছে। ডাক্তারদের দোষ কোথায় এখানে, দালালদের দোষ কোথায় এখানে? দালাল তো কমিশন খাচ্ছে বৈধভাবে। উপকারের বিনিময়ে পয়সা.... ডাক্তাররা দেখছে রোগীর শরীরে কিডনীটা ম্যাচ করবে কিনা, ব্যাস.... কিডনীদাতা রোগীর প্রকৃত ভাই না বোন, এটা প্রমাণ করা তো ডাক্তারদের কাজ নয়। যাদের কিডনী নষ্ট হয়, তারাই কেবল জানে এটার চিকিৎসা কত কঠিন আর দাতা পাওয়া কতটা দুঃসাধ্য। আর এর চিকিৎসা কতটা ব্যয়সাধ্য..... আলোড়ন সৃষ্টিকারী রিপোর্ট করার এরকম ব্যর্থ চেষ্টা না করে আমাদের সমাজের আরো যে অনেক প্রায়োরিটি সাবজেক্ট রয়েছে, সেগুলো নিয়ে সাংবাদিক ভাইরা রিপোর্ট করলে সমাজ উপকৃত হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।