আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"নিছক একটি গল্প"

ফজরের আজানের পর থেকে ছাদে বসে আছি,সুন্দর একটা সকাল দেখব বলে...শুনেছি,সকালের পবিত্র আলোর নাকি মনকে শুদ্ধ করার অসীম ক্ষমতা রয়েছে...গত কয়েকদিন থেকে মনটা বড় অশান্ত...পরশপাথর টা যেখানেই ছোঁয়াই,কষ্টের রঙ চড়ে সেখানেই কেমন নীলচে হয়ে ওঠে... মনটাকে বারবার সুযোগ দিতে ইচ্ছে করে...হয়তো সূর্যের আলো মনের সব অন্ধকারকে দূর করে দেবে...মনের সেই অন্ধকার কোণে আলোর একটু ছোঁয়া চাই আমি... কিন্তু,সূর্য টাকে আজ কেমন জন্ডিসে আক্রান্ত মনে হচ্ছে...এই দেখার জন্য সকাল থেকে বসে আছি??প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ছাদ থেকে নেমে এলাম... কিছুই ভাল লাগে না এখন আর...অনেকগুলো কাজ গুছাতে হবে...কোত্থেকে শুরু করব,কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না...কিছুই না... গত বেশ কয়েকদিন থেকে মাথাটা শুন্য হয়ে আছে...অনেক কাজ জমে যাচ্ছে... বাবা কে খুঁজে বের করতে হবে...নিজেদের থাকার একটা ব্যাবস্থা করতে হবে...অন্তি প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য কান্না করে...অসহ্য লাগে... আজকে ঠিক করেছি তানজীরের সাথে দেখা করব...ওর সাথে দেখা হলে কিছুটা ভালো লাগতে পারে...সকাল থেকে ফোন করছি...কিছুক্ষণ বেজে বেজে হয়রান টোন নিজেই চুপ মেরে যায়... ঘুম থেকে ওঠেনি বোধহয় এখনো...এতো ঘুম পাগল ছেলেটা...এভাবে ফোন বাজতে থাকলে,হয়েছে দেখা...সবচাইতে ভাল হত ওদের বাসায় চলে যেতে পারলে... হ্যালো... -হুম,বল... ফোন রিসিভ করছিলেনা কেনো??তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে পারবে আজকে?? -পারব...কোথায় আসব বল?? জিইসি তে আসো... -যাক,ভালোই হল...তোমার সাথে কিছু জরুরী কথা ছিলো... আমারও...তোমার হেল্প লাগবে আমার...আমি কিছু বুঝতে পারছি না...কি করব আমি?? -দেখা হোক...পরে কথা বলি... ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে আছি সেই তখন থেকে...আমি একা একটা টেবিল দখল করে বসে আছি বলেই কিনা জানিনা,মানুষ জন কেমন বিরক্ত হয়ে তাকাচ্ছে...আজ ওকে বকা দিতে হবে...একলা একলা এতক্ষণ অপেক্ষা করা যায় নাকি?? রাস্তায় তো এতো মানুষ দেখিনা...ছোট্ট এই জায়গায় এত মানুষ কোত্থেকে আসে??অবশ্য,আজকালকার পোলাপান ফাস্ট ফুড ছাড়া কিছু বুঝেও না... ভাবছি,কিছু কি অর্ডার দেয়া উচিৎ?? পার্স টা খুললাম...টাকা তেমন নেই সাথে... ওয়েটারকে না দেখার ভাণ করে বসে থাকাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে...ওর এতো দেরি হচ্ছে কেন,কে জানে??কোন সমস্যা হয়নি তো?? উহু,ঐতো দেখা যাচ্ছে...এদিক-ওদিক তাকাতে তাকাতে আসছে... ঃদেরি হল যে?? -রাস্তায় জ্যাম ছিলো... ঃখেয়েছ সকালে?? -হুম...তুমি?? ঃনাহ্‌,খাইনি... -বল,কি বলবে?? ঃতুমি তো জানোই,বাবাকে সপ্তাহ খানেক হল খুঁজে পাচ্ছি না...ছোট খালার বাসায় অর্পি আর অন্তি কে রেখে এসেছি...কিছু একটা তো করা দরকার তাই না??এভাবে কয়দিন ছোট খালার বাসায় থাকব??তুমি কি আমাকে কোন হেল্প করতে পারবে?? আমার পড়ালেখ শেষ হতে এখনো বছরখানেক বাকী...আচ্ছা,তুমি তো জব করছোই...বিয়েটা তো আমরা চাইলে এখন করতে পারি...অর্পির বিয়ের জন্যও খুব চাপ আসছে...ছোট খালা তাই আমাকে বিয়ে দিতে চাইছেন... -করে ফেলো... ঃবুঝিনি...কি বললে?? -বললাম,বিয়ে করে ফেলো... ঃবিয়ে করে ফেলব?? -হ্যাঁ,সেটাই বোধহয় ভাল হবে...অর্ণি,আমি আসলে তোমাকে বিয়ে করতে পারব না...আমাদের ফ্যামিলি,কখনো একটা ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে মেনে নিবে না...আমারও তাঁদের মতের বাইরে কিছু করার ইচ্ছা নেই... ঃও আচ্ছা... -আমার অফিসে যেতে হবে...তুমি কিছু খেয়ে নাও...কিছু দিতে বলি?? ঃনাহ থাক...তুমি যাও... এতক্ষন এই কথা শোনার অপেক্ষায়ই ছিলো মনে হচ্ছে...বলার পরই তাই দেরি করেনি... ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছে...চোখ দুটো সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত...গাল বেয়ে নেমে পড়া নোনা জল তাই আটকাতে পারিনা এখন আর... জীবন থেকে খুব বেশি কিছু তো কখনো চাইনি...আমার সাথেই তাহলে কেন এমন হল??পাঁচটা বছর কি খুব কম সময় একটা মানুষকে বিশ্বাস করার জন্য??আজ,প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে... ছোটবেলা থেকে চারপাশে সব ঠুনকো সম্পর্কের ভেঙ্গে যাওয়া দেখে বড় হয়েছি...কষ্ট পেতে পেতে অনুভূতি গুলোও তাই কেমন অসাড় হয়ে গিয়েছিলো...এতো কষ্ট,তবুও ভালবাসতে মন চাইতো খুব...চাইতাম,কেউ বুকে জড়িয়ে ধরে আমায় বলুক,"কি হয়েছে লক্ষীসোনা??"নয়তোবা,কেউ মাথায় একটুখানি হাত রাখুক... আজ তানজীরের চলে যাওয়ায় খুব বেশি কি কষ্ট হচ্ছে??জানিনা...হয়তো,কষ্ট হচ্ছে না...মনের কোথাও কেনো জানিনা,আগে থেকেই এই ভয়টা ছিলো... ফুডশপ থেকে বের হয়ে অনেক্ষণ হল পার্কের বেঞ্চে বসে আছি...এই মুহুর্তে,কিছুই নেই করার মত...তাই বসে বসে মানুষ দেখছি... পার্কের বাইরে,রাস্তার ওপাশে একটা ভিক্ষুক মহিলা দুইটা ছোট বাচ্চা নিয়ে বসে আছে...গামছার মত কিছু একটা বিছিয়ে তিনজন মিলে কি যেনো খাচ্ছে ভাগাভাগি করে... নিজেকে আজ ওদের থেকেও দরিদ্র মনে হচ্ছে...বাবা অথবা মায়ের কাছ থেকে আমরা কখনো এই ভালবাসাটুকুও পাইনি...তাদের নিজের জীবনে ভালবাসার খুব অভাব ছিলো,এইজন্যেই মনে হয় আমাদের জন্য কোন ভালবাসাই অবশিষ্ট ছিলো না... বাবা-মার ভালবাসার বিয়ে ছিলো...মা কে যদিও কখনো খুব আহলাদিত হতে দেখিনি এই নিয়ে... বাবা তার আত্মীয়-পরিজন সব ছেড়ে মার সাথে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন...দুজনের চাকরিতেই বেশ চলত সংসার...তাদের সুখের কিছুটা অবশ্য আমি আর অর্পি দেখেছি...অদ্ভুত কারণে,অন্তি হওয়ার পর থেকেই সেই সুখ ক্রমহারে হ্রাস পেতে লাগল... কোথায় যেন সুর কেটে গিয়েছিলো...দুজনই তাদের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকতেন...আর,আমরা তিন বোন নিজেদের মত করেই বেড়ে উঠতে লাগলাম...মা-বাবার দুরত্বও দিন দিন বাড়তেই থাকল... মা একদিন আমাকে ডেকে বললেন,"তোমার বাবার সাথে,এক ঘরে থাকা আমার জন্য সম্ভব না...তোমরা কি তোমার বাবার সাথে থাকতে চাও??নাকি,আমার সাথে থাকবে??অন্তি এখনো খুব ছোট...ও তো আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না...তোমরা বরং আমার সাথেই থাক..." খুব একটা অবাক হইনি...দূরত্বটা আগেই টের পেয়েছিলাম...তবুও ভেবেছিলাম আমাদের তিন বোনের জন্য ভালবাসা,বাবা-মা কে এক সুতোয় বেধে রাখবে... আমার বাবা রসকষহীন মানুষ ছিলেন...সবসময় দেখে এসেছি,বাবারা মেয়ে অন্তপ্রাণ হয়...কিন্তু,বাবার সাথে আমাদের দূরত্ব ছিলো অনেক...এই মানুষটাকে অদ্ভুত কারণে খুব ভয় পেতাম আমরা...তাই কে ভালো,কে মন্দ না ভেবেই মায়ের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম... মার এই সিদ্ধান্তে,বাবা ও খুব একটা আপত্তি করেননি...তিনিও মুক্তিই চাচ্ছিলেন বোধহয়... মা আমাদের তিন বোন কে নিয়ে নিয়ে নতুন বাসায় উঠলেন...তখনো বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়নি...সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অল্প কিছুদিন বাকি...ততদিন পর্যন্ত মা অপেক্ষা করতে চাননি... নতুন জীবনে মা স্বাভাবিকই ছিলেন...তার সাথে তাল মিলিয়ে তাই আমরা তিন জন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলাম...মা খুব একটা সময় পেতেন না,তাই অর্পি আর আমি পালা করে অন্তির খেয়াল রাখতাম...মার ব্যাস্ততা আমাদের তিন বোনকে আরো কাছে টেনে আনল...যেখানেই যেতাম,এতুটুকু অন্তত জানতাম কেউ না কেউ আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে... মা প্রায়ই অফিসের এক কলিগের কথা বলতেন...পুরোনো বাসায় বেশ কয়েকবার তিনি এসেছেন...ভার্সিটি থেকে এলে নতুন বাসায়ও প্রায়ই দেখতাম তাকে...আমাদের সাথে খুব পুতুপুতু ভঙ্গিতে কথা বলার চেষ্টা করতেন লোকটা...বয়স তেমন বেশি না লোকটার...ভেবেছিলাম,মা হয়তো আমাকে তার সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন... আমি তো মনে মনে উত্তর ও ঠিক করে রেখেছিলাম...ভেবেছিলাম মা কিছু বললে,আমি বলব,"মা লোকটা খারাপ...আমি তার চোখ দেখেই বুঝতে পারি..." মজার ব্যাপার হল,একদিন রাতে মা আমাকে আর অর্পিকে ডেকে বললেন,এই মানুষটিকে তিনি বিয়ে করতে চান...প্রথম কিছুক্ষণ মায়ের কথা বুঝতেই পারিনি... যখন বুঝলাম,তখন অবাক হয়ে মার দিকে তাকালাম...আর,অর্পি পাশে বসে চোখের পানি ফেলতে লাগল... পরদিন সকালেই,অর্পি আর অন্তি কে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম...কি ভেবে বের হলাম জানিনা...তবে,তীব্র ঘৃণাবোধ মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো এইটুকু বলতে পারি... বাবার কাছে ফিরে যাওয়া ছাড়া ওই মুহুর্তে তাই আর কিছু মাথায় আসেনি... পুরোনো বাসাটায় তালা ঝুলছিলো...বাবাকে ফোন দিয়ে দেখলাম,ফোন সুইচড অফ্‌....বাড়িওয়ালা চাচার কাছে জানলাম,বাবা বাসা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে সপ্তাহ খানেক হল চলে গেছেন... লাখ চেষ্টা করেও বাবার কোন হদিস পেলাম না... এই শহরে আমাদের বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজন ছিলেন...বাবা-মার সুবাদে,কারো সাথেই সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিলো না...তবুও কি করব কিছু বুঝতে না পেরে বড় মামার বাসায় গিয়েছি...আমাদেরকে দেখেই তিনি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন... সেদিন তার অকথ্য গালাগালে আশেপাশে লোক জড় হয়ে গিয়েছিলো...অন্তি ভয় পেয়ে চিৎকার করে কান্না শুরু করল...আমি আর অর্পি লজ্জায় থরথর করে কাঁপতে লাগলাম...বের হয়ে এলাম সেখান থেকে... ছোট খালা অবশ্য এতোটা নির্দয় হতে পারেননি...তাদের বিরাট বাসার স্টোর রুম সদৃশ একটা ঘরে আমাদের তিন বোনের থাকার জায়গা হল...তবে তিনি প্রতিদিন খাওয়ার সময় গুলোতে তার বিরক্তি বুঝিয়ে দিতে ভুলতেন না... বাবার খোঁজে বের হয়ে যেতাম বলে আমার চোখে খুব একটা পড়েনি ব্যাপারটা...অর্পি খেয়াল করলেও আমাকে কিছু বলেনি কখনো...ও অবশ্য খাওয়ার সময় গুলোতে রুম থেকে বের হত না...পরে খেয়ে নিতো...কিন্তু,ছোট্ট অন্তি সবাই খেতে বসলে খালাতো ভাই-বোন গুলোর কাছে খাবার চেয়ে বসত...যেদিন প্রথম এই দৃশ্য আমার চোখে পড়ে,ইচ্ছা হয়েছিলো,দুজনকে মেরে ফেলে আমিও মরে যাই... দিনের আলো মিলিয়ে এসেছে...সব মানুষ ঘরে ফিরে যাচ্ছে...অর্পি আর অন্তি ও হয়তো আমার অপেক্ষায় বসে আছে...কিন্তু,অদ্ভুত কারণে বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করছে না,ওরা কি করছে,কিছু খেয়েছে কিনা,কিছু জানতে ইচ্ছা করছে না...কেনো সব কিছু এমন হল?? রাস্তায় ছুটে চলা গাড়িগুলা দেখে লোভ হচ্ছে খুব...রাস্তার পাশে খানিকটা উঁচু জায়গায় বসে রাস্তার দিকে তাই তাকিয়ে আছি...ভাবতে অবাক লাগে,এত মানুষের এই শহরে আমাদের আর্তনাদ শোনার কোন মানুষ নেই... সন্ধ্যার আলো বোধহয় মানুষের চেহারাই পালটে দেয়...কতগুলো ছায়ামূর্তি হেটে যাচ্ছে যেন...কেমন ভয় ভয় লাগছে...তবুও জানি,যান্ত্রিক আর নির্জীব এই মানুষগুলো একটু পরেই সচল হয়ে উঠবে... আমার রক্তাক্ত নিথর দেহটা রাস্তার একপাশে উঠিয়ে রাখতে তো কিছু মানুষ লাগবেই...কিছু মানুষ হয়তো আমাকে বিরক্ত হয়ে দেখবে...হয়তো অনেক মানুষ আমাকে ঘিরে আহা-উহু করবে...ভাবতেই রোমাঞ্চিত লাগছে... ওইতো দূরে একটা ট্রাক দেখা যাচ্ছে...এর সামনে পড়লে বাঁচার কোন সম্ভাবনাই নেই...তাই এতো গাড়ির ভীড়ে এটিকেই বেছে নিলাম... ইশ্‌!!ট্রাক ড্রাইভারটার চেহারা যদি একটিবার দেখতে পেতাম... হঠাৎ,তার গাড়ির সামনে একটা মেয়েকে দেখে তার চেহারা হয়তো আতংকে নীল হয়ে যাবে... রক্তের প্রতিটা কণার গতি বেড়ে গেছে...হৃৎপিন্ডটাও মনে হচ্ছে বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে...মুক্তির পথের খোঁজে আমিও গুটিগুটি পায়ে ট্রাকটার দিকে এগুচ্ছি... হতচ্ছাড়া ফোনটাও এখুনি বেজে উঠার দরকার ছিলো?? ইচ্ছাটাকে কিছুক্ষণের বিরতিতে রেখে ফোনটা ধরলাম...বেশ বিরক্ত হয়ে "হ্যালো" বলতেই ওপাশে অর্পির ভয়ার্ত কন্ঠ শুনতে পেলাম... -হ্যালো,আপু তুই কোথায়??এখনো বাসায় ফিরিসনি যে?? আমার খুব ভয় লাগছে...প্লীজ,তাড়াতাড়ি বাসায় আয়... ঃআসছি...তোরা খেয়েছিস কিছু?? অর্পি লজ্জিত গলায় বলল,"নাহ,আজকে বাসায় একটু ঝামেলা হয়েছে তো,তাই আর ছোটখালাকে কিছু বলতে ইচ্ছা করেনি..." নিজের অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো...স্বার্থপর এই পৃথিবী আমাকেও কিছুক্ষণের জন্য স্বার্থপর বানিয়ে ফেলেছিলো...মরে গেলে হয়তো বেঁচে যেতাম...কিন্তু,জেনে যেতাম,এই পৃথিবীতে সত্যিকারের ভালবাসার কোন মূল্য নেই... কে বলে ভালোবাসা বলে কিছু নেই??এখনো দুটো ছোট্ট প্রাণ আমার অপেক্ষায় প্রহর গোণে... ওদের জন্য হলেও আমি বেঁচে থাকব...সবার গল্প যেখানে শেষ,আমি সেখান থেকেই নাহয় শুরু করব...সেই গল্প অনেকের কল্পনাকে হয়তো ছাড়িয়ে যাবে...তবুও আমি বাঁচব... বাসার পথে হাটতে হাটতে তাই ভাবছি,"গুটিকয়েক মানুষের ভুলের জন্য অর্পি আর অন্তির ভালবাসাকে তুচ্ছ করার অধিকার আমার নেই..." - ফারহানা নিম্মী

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।