কাতর প্রভাত যাতনা ভারে যখনই হইবে ভারী, এক পেয়ালা কুয়াশা তুলিয়া চলিব রাতের বাড়ি। হাজার বছর ধরে পথ হাটিতেছি গার্লস কলেজের পথে।
ভিকা থেকে সিদ্ধেশ্বরী কখনো বা হলিক্রসের ধারে।
অনেক ঘুরেছি আমি, বাদ দেই নি পাড়াগায়ের কলেজেও।
আজ আমি ক্লান্ত গুটিয়ে পড়িছি লজ্জার ভারে।
আমি একলা প্রান, চারিদিকে জোড়ায় জোড়ায় মেলিয়া বসিছে পেখম,
আমারে দন্ড দন্ড অশান্তি দিয়াছিল ইডেনের কুলসুম বেগম।
গার্লফ্রেন্ড তার বারেবার পূনর্বার দূর্ব্যবহার আবার,
ধমকে তার হার্টফেল অনিবার্য। অনেক অবহেলার পর,
সময় হয়েছে এখন পরপারে যাবার।
আগুনের ফুলকি, যখন সে হাত রাখে আমার মানিব্যাগের ভিতর।
তেমনি চারিদিকে দেখি অন্ধকার ; বলেছে সে ‘টাকা কেন এত কম’?
ক্ষুধার্ত প্যাচার মত চোখ তুলে ইডেনের কুলসুম বেগম :#
সমস্ত দিনের শেষে খালি হাতে ভিক্ষুকের মতন,
সন্ধ্যা আসে, আমার টিনের চালে ঠুসঠাস পরে ঠিল।
|
আমার মানিব্যাগ খালি করার তার সে কি আয়োজন।
তখন কষ্টের তরে, যোগাই আগামিকালের বিল।
সবার জীবনে প্রেম আসে, ভালোবাসা ফুরায় জীবনের দম,
থাকে শুধু ভীতি, মুখোমুখি বসিবার কুলসুম বেগম।
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধুসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে-সব নদী-ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।