২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৭ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় দেশে আসে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ অন্যান্য খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন অর্থবছরে ওভেন পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের এ খাতের আয়ের চেয়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
এছাড়া নিট পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।
২০১২-১৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২২ শতাংশ।
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে চলছে।
এ বছর তৈরি পোশাক, ওভেন, নিট, কৃষিপণ্য, চামড়া, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
অন্যান্য খাতের রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করা হবে বলে জানান মাহবুব আহমদ ।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিগত বছর গুলোতেও রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সভায় আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আগামীতেও এ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।
”
সভায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধিরা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বন্দর সমস্যার নিরসনের দাবি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) রুহুল আমীন সরকার, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) মনোজ কুমার রায়, অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) এস এম শওকত আলী, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু, অর্থমন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।