আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব্দার্থ দুষণ : ০০০১ # গণতন্ত্রে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটি অচল

***** গণতন্ত্রে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটি অচল। নির্বাচনের মাধ্যমে ‘নেতা বা নেত্রী’ বানানো হয় না, জনসাধারণের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তিকে ‘প্রতিনিধি’ হিসেবে পছন্দ করা হয়। গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব, মালিকানা সবই জনগণের, কোনো ব্যক্তি বিশেষের নয়। নির্বাচক জনগণের পক্ষ থেকে যেটুকু দায়িত্ব পায়, জনগণের প্রতিনিধি কেবল সেটুকুই পালন করে যেতে বাধ্য। গণতন্ত্রে কোনো জনপ্রতিনিধিকে জননেত্রী, দেশনেত্রী, রাজা, মালিক, কর্তা ইত্যাদি পদবীতে ভূষিত করলে জনগণকে যেমন অপদস্থ করা হয়, তেমনি ঐ প্রতিনিধি অজ্ঞ হলে সে নিজেকে প্রভূ ভাবতে চায় এবং সে তখন জনগণকে তার শাসক হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট পায়, জনগণের কাছে জবাবদিহি করাকে নিজের মানহানী মনে করে।

নেতা, নেত্রী,কর্তা, পতি ইত্যাদি সর্ব্বোচ্চ প্রযোজ্য শব্দগুলো কেবল দল বা গোত্রের ক্ষেত্রেই মাননীয়। নেতা, কর্তা মালিক ইত্যাদি পদভূষিত ব্যক্তিটি অধস্থনদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তবে জনগণ হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের মালিক মানবসন্তানের সমষ্টি। জনসাধারণ বা জনগণ কোনো ব্যক্তিবিশেষ, দলবিশেষ বা গোত্রবিশেষ নয়, --তাই ‘জননেতা’ ‘দেশনেত্রী’ ইত্যাদি শব্দগুলো গণতন্ত্রে অবৈধ, অশ্লীল শোনায়। জনগণ প্রতিনিধির কাছ থেকে কখনোই কোনো ধরনের নেতৃত্ব আশা করে না, --জনগণ তার প্রতিনিধি ব্যক্তিটির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে চায় এবং সেই চেষ্টায় প্রতিনিধিকে চেষ্টারত না-পেলে তাকে সরিয়ে অন্য ব্যক্তিকে প্রতিনিধি বানায়।

আমরা উন্মাদ হয়ে জনগণকে ‘ভেড়ার পাল’, ‘গোবরের পিণ্ড’, ‘ছাগলের মূত্র’ ‘আহাম্মক গর্ধব’ ইত্যাদি বলে বলে অবজ্ঞা করার চেষ্টা চালিয়ে নিজেদেরকেই কেবল অপদস্থ করতে পারি, তাতে জনগণের বিশালত্বে কোনো বিকৃতি ঘটে না। গণতন্ত্রে জনগণই রাষ্ট্রের মালিক, এই মালিকানা কেউ কখনো কোনোভাবেই কেড়ে নিতে পারে না। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.