এক লিটার ''মুভি, আড্ডা, 'আউট' বই, ফেসবুক, The Big Bang Theory'', এক মুঠো ''যা খুশি'' এবং তিন আঙ্গুলের এক চিমটি 'পড়াশুনা' দিয়া জোরে একটা গুটা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর একটা বইতে পড়েছিলাম। মানুষ তার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের সময়টুকু যেখানে কাটায় ঐ জায়গার প্রতি এক ধরনের আবেগ অনুভব করে, এটাই দেশপ্রেম। উনার এই ব্যাখ্যা আমার ভালো লাগসে। এই ব্যাপারে ফ্রয়েড বা সমগোত্রীয় মামা কাকাদের কোন কথা আছে কিনা, আমার জানা নেই।
তাছাড়া কবি সাহিত্যিকরা অনেক সময় শুধু সৈান্দর্য টুকু দেখেন, ধানের উপর ঢেউ খেলা দেখেন, কিন্তু কৃষকের কষ্টটা তাঁর কবিতায় আসে না।
আমার বন্ধু এখানে যখন মাঝে মাঝে দেখে, বিভিন্ন কাজ যন্ত্র দিয়ে এরা কত সহজে করছে, অথচ একি কাজ আমাদের দেশে কত বেশী কায়িক শ্রম দিয়ে করা লাগে, তখন আমার বন্ধুর খারাপই লাগে।
দেশ মানে ভূখণ্ড নয়, দেশ মানে আসলে মানুষ। দেশ আমার একটাই সবসময়, রাষ্ট্র একেকসময় একেকটাঃ ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ। আমার বন্ধু একটা কথা প্রায়ই বলে, যদি দেশের প্রত্যেক মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা পাই, তবে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হোক কিংবা প্রতি ঘরে মার্কিন সেনা থাকুক, আমার কিছু যায় আসে না। সার্বভৌমত্ব ধুয়ে পানি খেলে পেট ভরে না।
যদিও আজকের এই জটিল পৃথিবীতে এইসব চিন্তা করাই অমূলক। প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ভারত ভাগের মূল কারণগুলো সব অর্থনৈতিক, পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্যও অর্থনৈতিক কারণ গুলোই মুখ্য।
জাফর ইকবাল স্যার এর যে দিকটা আমার সব চেয়ে ভালো লাগেঃ উনি সব সময় দেশের জন্য কিছু করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করেন।
অনেক আগে কোথায় জানি পড়েছিলাম, এক ছাত্র নৌকায় কিছু গরীব ছেলেমেয়েকে পড়ায়। বিনামুল্যে, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো।
কিন্তু ঘরের খেয়ে বনের মোষ না তাড়ালে কখন পরিবর্তন আসে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।