সরকার ভাবছে হিন্দুদের ভোট তাদের পকেটে!! তাই হিন্দুদের মন্দির জ্বালাক, প্রতিমা ভাঙ্গুক, নির্যাতন করুক, এবং এদের লাত্তিগুতা দিলেওতো তারা আওয়ামীলীগকেই ভোট দেবে। এছাড়া তাদেরযে আর গতি নেই! তাই সরকার এখন নাস্তিকদের লিস্ট করে দেশের সংখ্যাগুরুদের ভোট পকেটে টানার চেষ্টা করছে, আর ওদিকে সমান তালে ভাঙ্গা হচ্ছে প্রতিমা আগুন দেয়া হচ্ছে মন্দিরে!! এতে হিন্দুদের ধরমানুভুতিতে আঘাত লাগেনা!! সনাতন ধর্মকি ধর্ম নাকি এটা কাফেরদের ধর্ম!! তাই কাফেররা নিপাত যাক, সরকারের এহেন আচরণে উপরিউক্ত কথাগুলো আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। আপনি বলতে পারেন মাত্রইতো ঘটনা ঘটলো, একটু সময় যাকনা বিচার ঠিকই হবে। আচ্ছা মেনে নিলাম বিচার হবে। কিন্তু এদের তালিকা,মামলা, গ্রেফতারে এতো দেরী কেন? আসলে এটার কারন, সরকারের ইচ্ছে নেই।
যার কারনে দেরী। আর ঘটনা যতোই পুরাতন হবে দুষ্কৃতিকারীদের ধরাও ততো কঠিন হবে। মানুষের নজরও তখন সরে যাবে কারন সামনে নির্বাচন, আর সবাই গলা ফাটিয়ে বলবে আমার নেতা তোমার নেতা হাসিনা এরশাদ খালেদা জিয়া। তার ফাঁক দিয়ে ঠিক থাকবে ভোটের হিসাব, পার পেয়ে যাবে ধর্মের নামধারী কুত্তাগুলো। আর বিচার কাঁদবে নীরবে বাংলার প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর মন্দিরের ভেতর।
তাতেই আওয়ামীলীগের পতনের শুরু হয়েযাবে। সেই দিনের স্বপ্নটা দেখাচ্ছে আমাকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জামাতের পাশাপাশি আওয়ামীলীগকেও নতুন প্রজন্মের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে একদিন। সে দিন আর বেশি দূরে নয়।
পরিশেষে বলিঃ সরকার যদি মনেকরে হিন্দুদের ভোট তাদের পকেটে, তাহলে তা আংশিক সত্য।
এই মুহূর্তে হিন্দুদের ভোট দেয়ার বিকল্প কোনও দল নেই, তাই নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভাল ভেবে ভোট দেয়। আরেকটা বিষয় তাহলো, হিন্দুরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে আত্মত্যাগের কথা আজও স্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেই আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়। কিন্তু সেই আওয়ামীলীগ যে আর এই আওয়ামীলীগে নেই তা হিন্দুরা ঠিকই বুঝে। আর বুঝে বলেই আরেকটি নতুন ভাল এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের অপেক্ষা করছে তারা। যদি তা কখনও পূরণ হয়েযায়, তবে আওয়ামীলীগ পেয়েযাবে তাদের ভোটের হিসাব।
আর তাই অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দলের বড়ই প্রয়োজন। তাতে সকল ধর্ম তথা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।