বগুড়ার শাজাহানপুরে অপহরণের পাঁচ দিন পর নোমান (৬) নামের এক শিশুর লাশ আজ রোববার সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দুজনকে গণপিটুনি দিয়েছে। পরে পুলিশ তাদের আটক করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়ে। এতে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়াও পুলিশের সাতজন সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছয় বছরের ছেলে নোমান বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। তাকে না পেয়ে তার অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ এলাকার লোকজন এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাশের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আবদুল খালেককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এলাকার লোকজন নোমানদের প্রতিবেশী আবদুল মাজেদকে (২০) আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশেই একটি সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশু নোমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে জনগণের রোষানলে পড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে সেখানে র্যাবের সদস্যরা গিয়ে উপস্থিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ সময় গ্রামবাসী পুলিশের পিকআপ ভ্যান উল্টে পাশে ফেলে দেয়।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আবদুল খালেককে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। (copy to paste from prothom alo)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।