যাযাবর গতকাল প্রথম আলোতে সড়ক দুর্ঘটনার উপর জাফর ইকবাল স্যারের চমৎকার একটা লেখা পরলাম। আজ পরলাম আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের লেখা, এটাও অসাধারণ। আহা!আমি যদি এরকম লিখতে পারতাম। তাহলে কতজনের বাহবা কুরাতাম। কতজন আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলত “দেখ, লোকটা দেশ নিয়ে কত চিন্তা করে, দেশের জন্য তার কত মায়া!”
স্কুলে থাকতে কত কবিতার ভাব-সম্প্রসারন করেছি তার মধ্যে একটা ছিল “চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন, ব্যাথিত বেদন বুঝিতে পারে?, কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে,কভু আশীবিষে দংশেনি যারে?” সেইসময় হয়ত মুখস্ত কিছু বুলি লিখে পরীক্ষায় খাতাও ভরে ফেলেছিলাম।
কিন্তু মর্ম কি উপলব্ধি করতে পেড়েছিলাম? নাহ! পারি নাই। এখনও কি পারি? মনে হয় না। কোনোদিন যদি আমার পরিবারের কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তাহলে হয়ত বুঝতে পারব।
স্যার, আপনারা মানুষ হিসেবে আমাদের মতো সাধারনের কাতারে নন। আপনারা আমাদের মতো শুধু নিজেদের সার্থ নিয়ে চিন্তা করতে পারেন না।
আর এই কারনেই এই দেশে আপনাদের অগুনিতও ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা আপনাদের ভালবাসে, বিশ্বাস করে। আপনাদের ঘিরে তাদের অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। দেশের এই ক্রান্তিকালে আপনারা কেন সামান্য একটা লেখা লিখে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করবেন? আপনারা কেন আন্না হাজারের মতো রাস্তায় নেমে আসেন না? আপনারা কেন বলেন না? “যতদিন না এই অপদার্থ নৌ মন্ত্রি আর যোগাযোগ মন্ত্রীর অপসারণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে?” তারপর দেখেন না কি হয়? না খেয়ে যদি মারাও যান তাহলে মনে রাখবেন আপনাদের সাথে আরও হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মরতে প্রস্তুত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।