আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
এ পর্যায়ে কুরআনের অনুসর করে তাকওয়া অর্জন করলে প্রতিদান কি পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কিছু আলোচনা করা যাক।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন-
“এবং তিনি তাকে এমন রেযেক দান করেন যার (উৎস) সম্পর্কে কোন ধারণা নাই, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট, (কেননা) আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজের কাজটি পূর্ণ করেই নেন; আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি জিনিসের জন্যেই একটি পরিমান ঠিক করে রেখেছেন। ” সূরা আত তালাক্ব-৩
আল্লাহ অন্যত্র বলেন-
“হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করে চলো, তাহলে তিনি তোমাদের জন্যে (অন্যদের সাথে) পার্থক্য নির্ণয়কারী (কিছু স্বতন্ত্র মর্যাদা) দান করবেন, তিনি তোমাদের গোনাহ সমূহ মিটিয়ে দেবেন, তিনি তোমাদের ক্ষমা করে দেবে; আল্লাহ তায়ালার দান আসলেই অনেক বড়ো। ” সূরা আল আনফাল-২৯
আল্লাহ আরো বলেন-
“অথচ যদি সেই জনপদের মানুষগুলো (আল্লাহ তায়ালার উপর) ঈমান আনতো এবং (আল্লাহকে) ভয় করতো, তাহলে আমি তাদের উপর আসমান-যমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম...। ” সূরা আল আরাফ-৯৬
আল্লাহ বলেন-
“(তাদের অবস্থা হচ্ছে) তোমাদের কোন কল্যাণ হলে (তার কারনে) তাদের খারাপ লাগে, আবার তোমাদের কোন অকল্যাণ দেখলে তারা আনন্দে ফেটে পড়ে; (এ প্রতিকুল অবস্থায়) যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করতে পারো এবং নিজেরা সাবধান হয়ে চলতে পারো, তাহলে তাদের চক্রান্ত (ও ষড়যন্ত্র) তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না; নিশ্চই আল্লা তায়ালা তাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিবেষ্টন করে আছেন।
” সূরা আলে ইমরান-১২০
উপরের আয়াতগুলো থেকে আমরা এটা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে একজন মুত্তাকী ব্যক্তির দুনিয়া এবং আখিরাতের কোথাও কোন সমস্যা নাই। অতএব কষ্ট করে হলেও আমাদেরকে মুত্তাকী হতেই হবে।
যদি মুত্তাকী হই তাহলে আরও বড় ধরনের একটা প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামী আমাদেরকে দান করবেন, সেই কথা বলেই আজকে আলোচনার ইতি টানবো ইনশাল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছেন-
“তোমরা তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা পাওয়ার কাজে প্রতিযোগিতা করো, আর সেই জান্নাতের জন্যেও (প্রতিযোগিতা করো) যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিনের সমান, আর এই (বিশাল) জান্নাত প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে সে সব (ভাগ্যবান) লোকদের জন্যে, যারা আল্লাহকে ভয় করে-মুত্তাকী। ” সূরা আলে ইমরান-১৩৩
আসুন আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদেরকে কুরআন নাযিলের এই মাসে তাকওয়া অর্জন করে সেই বেহেশতে যাওয়ার তাওফীক দান করেন, যার বিশালতা আসমান ও জমিনের সমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।