যে দেশে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে আছি আমি কখনও চাইনা সেই দেশ কিছু জন্ত জানোয়ারের জন্য মানুষের এই স্বাচ্ছন্দ বিনষ্ট হোক। ২০০৩ সালে আমি দেখেছি আরব থেকে আসা মানুষগুলি আমেরিকার ইরাক আক্রমনের হেতু তুলে সিডনি শহরের একটি অফিস ভাংচুর করেছ। সেদিন আমার এত প্রতিক্রিয়া ছিলনা। ছিলনা বললে ভূল হবে আসলে বিবেক লোপ পেয়ে গিয়েছিল। এরা যে সাপ তা আগে ভেবে দেখনি।
অষ্ট্রেলিয়ায় মুসলিমদের আগমন প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়া এবং পরে রেলের কাজের জন্য উনিশ শতকে আফগান থেকে। এই দুই গ্রুপ অষ্টেলিয়ার জনগনের ভ্যালুর সাথে মিশে গেছে। এরপর লেবানন ,তার্কি ,ইরাক,পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ থেকে যে মুসলিমরা এখানে এসেছে তাদের একটা বড় অংশই অষ্ট্রেলিয়ান ভ্যালুর সাথে মিশতে পারেনি। দুই কোটি বাইশ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ৩৪০০০০/মুসলিম । এই সামান্য সংখ্যক মুসলিমরাই সেদিন সিডনীতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
যে হারে মুসলমান পরিবার সরকারী সুবিধা পাবার আশায় সন্তান জন্মদিচ্ছে আগামী ৩০/৪০ বছরে এই দেশের ১০ ভাগের বেশী মুসলমান হয়ে যাবে। এদের অন্তরে যদি অষ্ট্রেলিয়ার ভ্যালু না আসে তবে আগামী দিনে আমাদের সন্তানরা নিরাপদ নয়। এরা এই সুখী সমৃদ্বশালী দেশটাকে পাকিস্থান আর আফগানিস্থান বানিয়ে ফেলবে ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। মুসলিম অধ্যষুত এলাকায় শরিয়া ল তৈরী করে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। কিছুদিন আগে এমন এই একজনের উপর শরিয়া ল প্রয়োগ করতে গিয়ে বিষয়টা প্রকাশ্যে এসেছে।
কেন এই আলোচনা?
এখনে অনেক বাংলাদেশীসহ মুসলিম ভাইদের দেখেছি তাদের মধ্যে ইসলামিক নেশা আছে যা যথাযথ প্রকাশ করার পরিবেশ তারা পাচ্ছেনা।
গত শনিবার একবাসায় ইফাতারের দাওয়াতে যাই। আরো কয়েকটি পরিবারও সেখানে ছিল। একজনের সাথে আগে থেকে পরিচয় জানতাম সে ধর্মান্ধ। একদিন তার বাসায় ২ বছরের একটা বাচ্চা দেখলাম টেবিলের কর্নারে বসে আছে।
পড়লেই টাইলসে মাথা ফেটে যাওয়ার চান্স। আমি দূর থেকে বললাম ভাই প্লিজ বাচ্চাটাকে ধরেন। ওনার উত্তর ছিল বাচ্চাদের সাথে ফেরেস্তা থাকে কিছুই হবে না। (কিছুদিন আগেই এই শহরে একটা বাংলাদেশী বাচ্চা কার্নিশ থেকে পড়ে মারা পড়েছে মনে করিয়ে দিতেই লোকটি বিরক্তির সুরে তাকালেন। )তারপর তার থেকে অনেক বয়ান শুনে বুঝেছিলাম এরা বসে আছে সেই দিনের জন্য।
ইফতার শেষে সবাই মিলে নামাজ পড়লাম। তারপর আমি অন্যরুমে কম্পিঊটারে একটা জরুরী কাজ করতে গেলাম। ড্রয়িং রুমে সবাই আড্ডার জন্য বসল। একজনের কন্ঠ শুনতে পেলাম তারেক মাসুদের কথা। তারেক মাদ্রাসা ছেড়ে ইসলামের বিরুদ্বে ছবি করেছে সেই জন্য আল্লাহ তাকে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখেছে।
বাড়ীর হোষ্টসহ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করল আস্তে গলায়। উনি পাত্তা দিলেন না। আমি পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত বিধায় বললাম ধর্মীয় কোন বির্তক মনে হয় এখানে করা ঠিক হবে না। এর মধ্যে আরেক বন্ধু স্টশনে এসে ফোন দিয়েছে আমরা কয়েকজন তাকে আনতে গেলাম। এসে যখনি বসছি আবার তারা ধর্মীয় আলোচনা টেনে আনলো।
আমি বললাম আই এই আলোচনা যদি করতেই চান তবে কেউ বিপক্ষে কিছু বললে তা কিন্তু ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। তার চেয়ে এই সব আলোচনা বরং নাই করি। কে কার কথা শুনে। শুরু হল পৃথিবীর সব আবিস্কার কোরআন থেকে হয়েছে। বিজ্ঞানের জন্মই কোরআন থেকে।
স্কান্ডেনেভিয়ান দেশগুলি কোরনের সাম্যতা ফলো করে তাই সেখানে শান্তি বিরাজমান ইত্যাদি ইত্যাদি। বাংলাদেশে ৪০ বছর আগে যা হয়েছে তা নিয়ে এখন টানাটানি এগুলি বলতেও ভূললেন না। আমি শুধু মাঝ থেকে বললাম আপনার মতে কোরআনের কোন আয়াত থেকে কোন কোন আবিস্কার হইছে একটু বলেন। উনি একটু ইতস্তত হয়ে কিছু বলতে না পেরে নিজের বাচ্চাদের টেককেয়ার করতে পাশের রুমে গেলেন। দুই উন্মাদের এক উন্মাদ অনেকের সাথে তর্ক জুড়ে দিলেন।
আমি চুপচাপ শুনতে থাকলাম। হঠাৎ করে উন্মাদ চেচিয়ে উঠলো আমার পায়ের উপর পা রাখা নাকি কোরআনের অবমাননা। বুঝলাম না উনি কোরআন কোথায় পেলেন। উনার শ্বশুর পাশেই ছিলেন উনি জিজ্ঞাস করলেন পায়ের উপর পা তুললে কোরআনের অবমাননা হয় তোমাকে কে বলল?( যদিও আমাদের এখানে কোণ কোরআন ছিল না উনি ধর্মীয় আলোচন করছিলেন)এমন সময় পাশের রুমে থাকা আরেক ধর্মান্ধ এসে আমাকে বলে আপনি কোরআনের অবমাননা করে এই ভদ্রলোকের মনে আঘাত দিয়েছেন। আপনি বাংলাদেশে থাকলে আজ কি হত জানেন?( কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে,ঘটনা না জেনে উনি জ্বাল মিটাচ্ছেন) বাংলাদেশে না হয়ে যদি লাকাম্বাতেও( মুসলিম অধ্যষূত এলাকা) হত মসজিদের পিছনে নিয়ে গুলি করে মারা হত।
( বলছিলেন আর এক হাত আরেক হাতের উপর চাপরাচ্ছিলেন)এই সব বলেই উনি ডিনার না করেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলে গেলন। যে প্রথম বলল অবমাননা করেছি তাকে এনে আমার কাছে মাফ চাওয়ানো হল। ভূলে গেলাম সবকিছুই। কিত্নু এরা যে সুযোগ পেলে এই দেশটাকেও গিলে খাবে তাই নিয়ে ভাবছি এবং অনেকের সাথে শেয়ার করেছি তারাও আমার সাথে একমত। একজন ধর্মান্ধ সে মুসলিম হিন্দু আর খ্রীষ্ট্রান হোক।
সে তার ধর্মের কথায় বাবা-মা ভাই বোনকেও হত্যা করতে পারে। আপনি আমিতো কিছুই না। কিন্তু একবারও বাস্তবতা বোঝেনা তাকে তার মা-বাব জন্মদিয়েছে তারাই তাকে আহার করিয়েছে, ভাই বন্ধু তার অনেক উপকারে এসেছে। কিন্তু যাদের জন্য এসব করেছে তারা তাকে কি সাহয্য করেছে?কি উপকার করেছে বা করতে পারবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।