আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকদিনের হল জীবন #৭

পর্ব ১. Click This Link পর্ব ২ঃ Click This Link পর্ব ৩ ঃ Click This Link পর্ব ৪ঃ Click This Link পর্ব ৫ঃ Click This Link পর্ব ৬ঃ Click This Link ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্য আমি সুমনা আপুর রুমে উঠেছিলাম। এর আগে এ রুমে থেকে যতজন পরীক্ষা দিয়েছে তারা নাকি কেউ শেষ পর্যন্ত টেকে নি। আমাকে আপুরা তাদের মুখরক্ষার জন্য তাগাদা দিতেন। আমার বড় বোনের খুব শখ। বান্ধবীর মত বড় একটা বোন থাকলে কি মজাই না হত! তাই বড় বোনের মত কাউকে পেলেই আমি ‘’মাদার ইন ম্যানভিল’’ এর জেরি হয়ে উঠতাম।

হলের আপুদের পেয়ে আমার মধ্যে জেরি ভাব আরো প্রবল হতে থাকে। সময় ফুরিয়ে আসছিল। সবার নাম ঠিকানা লিখে রাখছিলাম। একটা আপু ছিল অন্য রুমের। খুব চুপচাপ।

হঠাৎই তেড়ে এলেন, ‘’তুমি কি চিঠি লিখবে? তুমি তো চিঠি লিখবে না, আমি জানি। ‘’ আমি কষ্ট পাই আপুর কথায়। ‘’আমি লিখব, আপু’’—কথা দেই আমি। বেশ অভিমান নিয়ে, থেমে থেমে আপু বলল, ‘’ঠিক আছে, আমিও দেখব তুমি আমাকে লেখ কি না। ‘’ আমার মনে ধাক্কা লাগে।

ঢাকায় ফিরে লম্বা চিঠি লিখি আমি শিখীদিদের কাছে। উত্তর পাই নি। তবে আমার চিঠি যে তারা পেয়েছিলেন এবং পড়ে মজা পেয়েছিলেন সে খবর আমি পেয়েছি। দু একবার ফোনে কথাও হয়েছে। কিন্তু ঐ অভিমানী আপুটাকে আর আমার চিঠি লেখা হয় নি।

আমি লিখতে চেয়েছি। আজ না কাল, এই করে করে আলসে আমি আর লিখি নি। তারপরে ব্যস্ত হয়ে পড়ি অকারণ ব্যস্ততায়। ্মাঝে মাঝে ঠিকানাগুলো দেখতাম। বাসা পাল্টানোর সময় সেগুলোও হারায়।

আজ ঐ আপুর নাম আমার মনে পড়ে না। কিন্তু তার চুপচাপ অভিমানী চেহারাটা আমি এখনো ভুলতে পারিনি। আমিও জানি, আমার চিঠির অপেক্ষাতেও কেউ বসে নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.