আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকদিনের হল জীবন #২

২. পর্ব ১. Click This Link এই প্রথম আমি বাবা-মা ছাড়া একা একা কোথাও এলাম থাকতে। মা তো আমাকে একটা ফার্মের মুরগী বানিয়ে ফেলেছে। ফার্মের মুরগী তো তাও ডানা ঝাপটায়। আমার ওটুকু করাও মানা। কী করব আর কী করব না, তাই ভাবতে ভাবতে দিন কাবার।

আমার বোকা বোকা কথা শুনে আপুরা তো হেসেই বাচে না। হলের বিছানাগুলো দেখে ভাল লাগল। বিশাল বিশাল বিছানা। অনায়াসে ৪/৫ জন হাত পা ছড়িয়ে ঘুমাতে পারবে। এর মধ্যে আপুরা যে রাজার হালে থাকছেন, সেটা আমার বুঝতে অসুবিধা হল না।

ব্যাপারটা আরো ভাল বুঝলাম, ঢাবিতে চান্স পাবার পরে সেখানকার হলের এতটুকু এতটুকু বিছানা দেখে। ওর মধ্যেই নাকি আবার ডাবলিং, ট্রিপলিং করতে হয়! কীভাবে যে থাকে কে জানে? যাই হোক,রাতে ডাইনিং এ গেলাম খেতে। কত্তরকম যে নিয়ম ! টোকেন কেনা, ওটা নিয়ে তারপর খাবার আনা। টেবিলে বেশ কয়েকটা মোমবাতি জ্বালানো। বিদ্যুৎ নেই আগেই বলেছি।

আর সেজন্য বেসিনেও পানি নেই। হাত কই ধুব, ভাবতে ভাবতে দেখি টেবিলে বড় গামলা ভর্তি হাত ধোবার পানি। ওখানে হাত ধোবার জন্য যেই গ্লাস নিয়েছি, ওমনি দেখি এক আপু চামচ দিয়ে ঐ পানি তার প্লেটে নিচ্ছেন! আই সি! ওটা তাহলে ডাল? যাক বাবা, হাত ধুয়ে ফেলিনি ওখানে! পত্রপত্রিকায় হলজীবনের অনেক লেখা পড়েছি। পানির মত ডাল নাকি ডালের মত পানি দেওয়া হয় ছাত্রদের খেতে, তাই নিয়ে কেন এত বিতর্ক আজ বুঝতে পারলাম। একটু পরে আমিও খেলাম ঐ ডাল।

আমি ভাবতেও পারিনি ঐ হাত ধোয়া পানির মত দেখতে ডাল এর সুস্বাদু। আমি এমন মজার ডাল আগে তো কখনো খাই নি, এখন পর্যন্তও খাই নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.