৪.
পর্ব ১. Click This Link
পর্ব ২ঃ Click This Link
পর্ব ৩ ঃ Click This Link
দুদিন পরেই সুমনা আপু ঢাকায় চলে গেলেন। এবার আমি সত্যি একা হয়ে গেলাম। কিন্তু একদমই সেটা টের পেতে দেয় নি অন্য আপুরা। সে সময় মোবাইল ছিল না, কার্ড ফোনের খুব চল ছিল। শিখীদি মেয়েদের কার্ড দিতেন।
ব্যবহার করে মেয়েরা টাকা দিয়ে যেত। সারাক্ষণই মেয়েরা আসত কার্ড নিতে আর টাকা দিতে। আমি কোন রুমে থাকছি শুনে অনেক মেয়েই হাসাহাসি করত। বলত ব্যবসায়ী রুম। আমি বুঝতাম এসবই শিখীদিকে নিয়ে বলা হচ্ছে।
আমার ভাল লাগত না এসব। বলি, শিখীদি যদি কার্ড না বেচত তবে কিভাবে তুমি অমন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতে? এতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ যদি থাকে মেয়েগুলোর!
শিখীদিকে আমার বেশ ভাল লাগত। কিন্তু কথা বলতেন বেশ জোরে, ক্যানক্যানে স্বরে। আমি মনে প্রাণে চাইতাম, শিখীদি যেন কথা না বলে। কিন্তু উনি প্রচুর কথা বলতেন আমার কানে তালা লাগিয়ে।
এইটুকু বাদ দিলে দিদিকে আমার বেশ ভাল লেগেছিল। অপেক্ষায় থাকতেন প্রেমিকের চিঠির। চিঠি পেলে চুপচাপ চিঠি পড়তেন। স্বপ্ন মাখা চোখে তাকিয়ে থাকতেন প্রেমিকের ছবির দিকে। সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে দলবল বেঁধে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বেড়ুতেন।
পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন উনার হবু দেবর দেশের সাথে। দেশও আমার মত পরীক্ষা দিতে এসেছে এখানে। থাকছে ছেলেদের হলে। বেশ তর্ক হত ওর সাথে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।