সীমানা পেরোতে চাই, জীবনের গান গাই... তারেক মাসুদ। একটি নাম। একটি প্রতিষ্ঠান। একটি স্বপ্নের নাম। একজন স্বপ্নদ্রষ্টার নাম।
স্বপ্ন দেখাতেতো তাঁরাই পারে, যাঁরা স্বপ্ন দেখতে জানে। তারেক মাসুদ সেই নাম, যিনি স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্নের বীজ বুনেছেন।
আমি বিমুঢ়। বিধ্বস্ত। বিপর্যস্থ।
যিনি আমার স্বপ্নদ্রষ্টা তাঁর মৃত্যু আমার স্বপ্নকে যেন রুদ্ধ করে দেয়।
আমি মানতে পারিনা। আমার বারে বারে মনে হয়, ডাক্তার আর একবার পরীক্ষা করে দেখুক, মানুষটা বেঁচে আছে কিনা।
জাতির এমন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আমরা আর কোথায় পাবো?
আমরা ধরে রাখতে পারলাম না তাঁকে। আমরা তাঁর হত্যাকারী।
আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচা করে একজনের নাম প্রতিষ্ঠার জন্য এয়ারপোর্ট বানাতে পারি। অথচ, জীবন বাঁচাতে হাইওয়েগুলোতে ডিভাইডার দিতে পারিনা। হায়রে দুর্ভাগা জাতি আমরা!
আর কবে হুশ হবে আমাদের? নাকি তা হবার নয়?
তবে কি রাষ্ট্রদ্রোহী হবো আমি? যে রাষ্ট্র আমার জীবনের এতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারেনা, সে রাষ্ট্রকে আমার মানতে ইচ্ছা করেনা।
কই, দেশেতো গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা কম বছর চললো না। অনেকেতো শুধু অগণতান্ত্রিক সরকারের দোষ দেয়।
তারাওতো কম বছর ক্ষমতায় থাকলো না।
আজকের প্রধানমন্ত্রী কি পেরেছেন, এমন একজন সূর্য্য সন্তানকে জন্ম দিতে? বিরোধী দলের নেতা কি পেরেছেন এমন একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে জন্ম দিতে? তবে কেনো তারা এমন জীবন কেড়ে নেয়?
দেশে এখন অনেক নির্মাতা আছে, যারা যথেষ্ট বিনোদন দিতে পারে দর্শকদের। কিন্তু তার শিল্প কর্ম দিয়ে একটা সুক্ষ বোধ, একটা চেতনা মননে, মানসে গেঁথে দেয়ার মতো একজন মানুষ ছিলেন। তিনি তারেক মাসুদ।
আমার মতো অসংখ্য তরুণের কথা ছিলো, তারেক মাসুদের হাত ধরে আগামী পথ রচনা করার।
কেনো? কেনো আমরা আর তাকে পাবোনা? কে আজ আমাদের পথ দেখাবে? আমাদের স্বপ্ন কি রুদ্ধ হয়ে যাবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।