পোস্টের ভিতরে না যেয়ে পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।
ভারতের এলভিস হিসেবে খ্যাত মুম্বাই ফিল্ম সিটির কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ কাপুরের ছোট ভাই শাম্মী কাপুর আর নেই।
১৪ আগস্ট রোববার ভোর ৫.৪৫ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় তিনি ওই হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
সাথে সাথে চিকিৎসকরা তাকে আইসিউতে স্থানান্তর করে। আইসিউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি আজ মারা যান। আগামীকাল সোমবার সকাল ১১.৪৫ মিনিটে মুম্বাইয়ের বন গঙ্গা মহাশ্মশানে তার অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। মৃত্যুকালে কাপুর রেখে গেছেন স্ত্রী এক পুত্র ও এক কন্যা। তার মৃত্যুতে বলিউডে নেমে আসে শোকের পরিবেশ।
৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা দীর্ঘদিন নানাবিধ শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন। পরিবারের সূত্রে এ খবর স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়। গত কয়েক বছর ধরে তার কিডনি ঠিক মত কাজ করছিলো না। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস করে চলতে হতো। চলচ্চিত্র পরিবারে জন্ম নিলেও তার শুরুটা ভালো ছিলো না।
১৯৫৩ সালে জীবণ জ্যোতি সিনেমা দিয়ে তার চলচ্চিত্রে প্রবেশ। শুরুর বেশির ভাগ ছবি ফ্লপ করে। মুধুবালা, সুরাইয়া আর মত জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিপরীতে অভিনয় করেও তিনি হিট হতে পারেননি। ১৯৬১ সালে জংলি তার প্রথম হিট ছবি। অবশেষে তিনি নিজের চুলের বিন্যাস পরিবর্তন করেন।
এরপর তিনি তুম সা নেহি দেখা নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেন। সেটি দারুন জনপ্রিয়তা পায়। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কাশ্মীর কি কলি, রাজকুমার, জানোয়ার,ব্লাফ মাস্টার, বাততিমিজ,জংলী ইত্যাদি হিট ছবিতে তিনি কাজ করেন। ১৯৭১ সালে আন্দাজ ছবিটি ছিলো তার করা শেষ ছবি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।