আমি সন্ধানি চিল, খুজেঁ চলেছি অন্তরের নীল... তারপর বিড়ালের মতো করে ধীর পায়ে সন্ধ্যা আসে
এক ধূসর সন্ধ্যা ক্যামেলিয়া ফুল হাতে
গ্রীলের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে শীলা দেখে
হঠাৎই ফুরৎ করে একটি শালিক পাখির উড়ে যাওয়া
পাখির উড়ার ভিতর যে একটা ব্যাপার থাকে
এই প্রথম শীলা বুঝতে পারে। ।
এতোদিন শীলার খেয়ালই হয়নি
কচু পাতায় জমে থাকা এক ফোটাঁ জলের পড়ন্ত সময়
অনেক বেশি সৌন্দর্যময় তাই তাকে নিরেট শুধু একটা সেকেন্ড কি করে ভাবা যায়?
কিংবা টিনের চালে বৃস্টির অবিরাম ঝম্ ঝম্ শব্দ
সেটাকে কি শুধু নিছকই শব্দ বলা যায়?
শীলার মনে হয় এতদিন সে ভাসা ভাসা করে জীবন যাপন করেছে
এক অজানা মোহের পিছনে পাগলের মতো ছুটেছে
কিসের জন্য ছুটেছে, কেন ছুটেছে তা সে নিজেই জানেনা। ।
এই প্রথম শীলা বুঝতে পারে তার হাতে যথেষ্ট সময় আছে
কোথাও আর তার তাড়াহুড়া নেই
এক সেকেন্ড নেহাত কম সময় নয়
যেটা দেখার সেটা ভালো করেই দেখতে হবে
সাপ যেমন সমস্ত শরীর দিয়ে পৃথিবীকে অনুভব করে
ঠিক সে রকম করে নিজের সমস্ত সত্বা দিয়ে।
।
আসলে সে রকম করে জমকালো জীবন যাপন তার কখনো করা হয়নি
সকলের সাথে অক্সিজেন ভাগ করতে পারার যে কি মজা
সে আজো তেমন ভালো করে অনুভব করতে পারেনি। ।
কিংবা ভাবতে পারেনি প্রিয় একটা মুখের একটু দেখা পাবার জন্য
কেন সে ঘন্টার পর ঘন্টা রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছে
কেন? কিসের জন্য? সেটাকে কি শুধুই সময়ের পাগলামী বলে এড়িয়ে যাওয়া যায়?
যখন এই সব অন্যরকম কবি কবি চিন্তাগুলো তার মাথাটাকে পেয়ে বসে
তখন ক্যামেলিয়া ফুল হাতে ধীরো পায়ে এগিয়ে আসা ধূসর সন্ধ্যা
শীলাকে পিছনে রেখে চলে আসে সম্ভাষন জানাতে
অন্য কোন শীলার জানালার ভাঙা কাঁচে । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।