২. ব্যক্তির চেতনা একটু হলেও লুপ্ত হয় যখন সে কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকে। ১. যদি চতুর্দিক বন্ধ নিরেট পাথরের ভিতরেও কেউ ভাল কাজ করে, তবু সেটার কল্যাণ পৃথিবীতে ছড়াবেই। (এটি হাদিস। ) ০.সাপের মাথা বাদে বাকি পুরোটাই লেজ। সো, লেঞ্জা ইজ কোয়াইট ইম্পসিবল টু হাইড।
***কমেন্টেই আসল ইনফো***
ঘটনা শৈত্য।
বাতাস, পানির পরই আমাদের দরকার নেটওয়ার্ক। ফোন নেটওয়ার্ক হোক বা না হোক, নেট নেটওয়ার্ক।
অবশ্যই সব পদের নেটওয়ার্কের খানা বান্দা একা হজম করেনি। তাই সহবান্দাদের সহযোগিতায় সুখাদ্য হয়ে উঠুক জরিপ প্লাস রিভিউ।
ক্ল্যাসিক 'ব্রডব্যান্ড'
সুবিধা
১. স্পিড 'চলে'।
২. এইচটিপি সার্ভার থাকলে তো কথাই নাই। মুভি নামাও আর দেখো। সাধারণত সার্ভারঅলারা মাস্টার প্রিন্ট নামায় টরেন্ট দিয়ে। সাইজও মধুর।
সাতশো আটশো মেগা। কিন্তু সফটওয়্যার বা অফট্র্যাকের এলিমেন্ট ভাল হয় না।
৩. বিল সহনীয়, কোন ডাটা লিমিট নাই।
অসুবিধা
১. নামেই ব্রডব্যান্ড। এরচে এখন ওয়াইফাই জোন পেলে কেউ ব্রডব্যান্ডের দিকে ফিরেও তাকাবে না।
চাইলেই তারা স্পিড দিতে পারে, এবং চায় না দেখেই দেয় না। সিম্পিল।
২. 'স্যার, বিষ!' এইটা হল ব্রডব্যান্ডওয়ালাদের সার্ভিস।
কর্পো টাইপ ব্রডব্যান্ড
সুবিধা
১. স্পিড অকল্পনীয়। দামও খুব কম।
যেমন, এক এমবিপিএস মাত্র ১৫০০ টাকার আশপাশে। কোন ডাটা লিমিট নাই। কোন আপডাউন নাই।
২. সার্ভিস বেশ বেশ ভাল।
৮ নম্বর মন্তব্যে কোডব্লকার দাবি করছেন, ১ হাজার টাকায় ১ এমবি।
ধররে, কোড ব্লকাররে ধর্!
অসুবিধা
১. স্যার, এই এলাকায় আমরা এখনো লাইন দেয়া শুরু করিনি (খুব ভাল কাম করসো, আমার মুখে তো ফিডার একটা ধরায়া দিলা, তুমিও খাও। )
তো, যতদূর মনে পড়ে, লিংক থ্রি হলো সেই কল্পনার নেট লাইন। মাত্র দেড় হাজার টাকায় ১ এমবি (১২৮ কেবিপিএস রিয়েল ডাউনলোড স্পিড, আনলিমিটেড ডাটা) এবং তারা নাকি মাত্র ২ হাজার টাকায় কানেকশন দেয়। সার্ভিসও ভাল।
সব হিসাবে, এটাই বাংলাদেশে একমাত্র (এখন পর্যন্ত জানি যতটুকু) প্রকৃত ইন্টারনেট লাইন, যেখানে তিনটা ইউটিউব ভিডিও দেখা যাবে অ্যাট আ টাইম।
কিন্তু ঢাকাতেই সব জায়গায় লাইন যায় না।
বাংলা বিলাই
৭ নম্বরে কিং ভাই... লাইন ভালই। আমার এলাকায় নেটওয়ার্ক একটু কম থাকে। মানে ২ বার থাকে , তাও সুপার কাজ করে। মাঝে মাঝে একটু সমস্যা করে।
কিন্তু সেটা ত সব গুল তেই করে। মাঝে মাঝে একটু আধটু সমস্যা করে।
নেট এর রেট আর একটু কম হলে ভাল হত।
সুবিধা
১. লুব দেহায়। অ্যাড দেয় বড় বড়।
মাঝে মাঝে টিশার্ট আর ক্যাপ ফিরি দেয়।
অসুবিধা
কোনো অসুবিধা নাই। সবই সুবিধা। লাইন যদি কয় ৩০০ কেবি, আপনে পাবেন ৫০-২৫০ কেবি। অসুবিধা কোতায়?
বিশাল ছুন্দর ইন্টারফেস, তারচেও ছুন্দর ইউষ।
কানেক্ট হইতে টাইম নেয়। ক্ষণে ক্ষণে ডিসকানেক্ট হয়, আবার নিজের চেষ্টায় কানেক্ট হয়। খুবই চেষ্টাশীল নেটওয়ার্ক। একটা ক্লিক করার পর চিন্তায় পড়ে যায়, সম্মানিত গ্রাহক কি আসলেই এক্বিনের সাথে ক্লিক করেছেন? যদি শিওর হতে পারে সেকেন্ড দশেক সময়ের মধ্যে যে, গ্রাহক আসলেই একিনের সাথে ক্লিক করেছেন, তখন ঠাস করে পেইজ লোড করা শুরু করে।
ডাটা বাঁচানোর জন্য কত ধরনের ফন্দি যে করা যায়, আল্লাহ জানে।
আর কিছু কিছু জানে বাংলাবিলাইওয়ালারা। আমরা মগা জনগণ, কিছুই জানি না।
ওলো
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরি অন্তরে।
ওলো লোলো লাও, কলা বাদুড়ের ছাও, পইড়া ঘুম যাও।
যদি কোনদিন মার্কেটে সত্যিকার অর্থেই নামে, রিভিউ লেখা যাইবেক।
আর ভাইয়েরা জানলে জানান।
কিউবি
সুবিধা
যে ডাটারেট ও স্পিড বলবে, সেই স্পিড ও ডাটারেটই দিবে। নো ধানাই পানাই। সিম্পল এবং পাওয়ারফুল মডেম।
সত্যি, যা স্পিড চাই তাই কন্সট্যান্ট পাওয়া একটা স্বর্গীয় আনন্দ।
অসুবিধা
রক্তচোষা। এমনভাবে পোস্টপেইডের প্ল্যান সাজায়, যেন পে করতে দেরি হলে লো স্পিডে মানুষ ব্যবহার করতে বাধ্য হয় কিন্তু পরের মাসের বিল ঠিকমত দিতে বাধ্য হয়। লাইন ইচ্ছামত বন্ধ করার সুবিধা ছিল, সেটাই স্বয়ং বন্ধ হয়ে গেছে।
টেলিটক থ্রিজি
সুবিধা
নেটওয়ার্ক পেলেই, তা যত লো নেটওয়ার্কই হোক, ধুন্ধুমার স্পিড পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার বাইরেও বেশ কিছু জায়গাতে ধুন্দুমার চলছে।
অসুবিধা
ডাটা কেনার রেট খুব হাই থ্রিজিতে। কিন্তু টুজির ডাটারেট চলে। সবচে বড় অসুবিধা, টেলিটকের 'সরকারি/আধাসরকারি' কর্মকর্তাদের মানুষ বিশ্বাস করে না। তাই কিনে রেখে পরে পস্তাতে চায় না। নেটওয়ার্ক খুবি কম জায়গায়।
৭ নম্বরে, আসে যায়, আসে যায়...
চিটিসেল
মন্তব্য ৬ এ সৌরভ ভাই... দারুণ স্পীড পাই । আমার জন্য খারাপ না । লাইনে প্রব হয় না , হুটহাট নেট ফল করে না । এট লিস্ট ৪ বছরের সিটিসেল লাইফে আমার হয় নাই । চলন্ত গাড়ি বলেন , কিংবা চিপায় খাটের তলা , স্পীড ইজ ইউজেবল।
তয় প্যাকেজ একটু সস্তা হইলে ভালো হইত ।
আপনা মাঁসে হরিণা বৈরী। সিটিসেল, তাকে জুম করে দেখুন বা নাই দেখুন, তাদের পলিসিই তাদের ধ্বসিয়ে দিয়েছে। জুমের ডেডিকেটেড স্পিডে অনেকেই সন্তুষ্ট। কিন্তু সত্যিকার দৌড়াদৌড়ি করতে নিলে কি আর পাওয়া যায়?
গ্যাঁড়া (হোয়াট ডু ইউ মিন?)
সুবিধা
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মধ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পিড ও কন্সট্যান্ট।
কিছুদিন আগেও তাদের নেটওয়ার্কে যেসব সমস্যা ছিল তা সব সময় ঠিক করার উপরে থাকে বলেই মনে হয়।
অসুবিধা
প্যাকেজের রাক্ষুসে দাম।
এই যুগে পাঁচ গিগা কেন মানুষ এক হাজার টাকা প্লাস ভ্যাটে কিনবে? এক গিগার দাম এখনো তিনশো টাকা সব মিলিয়ে। নাইট প্যাকেজ চলে, কিন্তু জেগে থাকবে কে?
এয়ার (ইন্ডিয়া) টেল (আ লাই)
স্পিড মোবাইল হিসাবে চলে, খারাপ না। নেটওয়ার্ক এর বিস্তৃতিও ভাল।
এমন সব চিপা পদ্ধতিতে নেটের সুবিধা দিবে, যে তার ট্রান্সলেশন করতে করতে দেখবেন হয় নেট ব্যবহার করা শেষ, নাহয় যখন সেটা প্রযোজ্য ছিল, তা না জানার কারণে অলরেডি টাইম শেষ।
ডাটা বান্ডলের দামও রাক্ষুসে। গ্যাড়ামিনের চেয়ে বেশি দাম কীভাবে তারা রাখে সেটা আশ্চর্য বিষয়।
পোস্টপেইড ইউজারদের বেশি সুবিধা দেয়া সব ব্যবসাতেই একটা নীতি। এনারা এই নীতির ধার ধারেন না।
আমাদের কাছ থেকে বারো পনেরশ টাকা নিয়ে মনে করেছে, ফেঁসে গেছ চান্দু, এবার তো তোমাকে বেশি দামে নেট ইউজ করতেই হবে, অথবা বেশি পরিমাণে নিয়ে তারপর ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। ফাউল।
বাংলালিংক
বাংলালিংক ব্যবহার করেন যারা, সেই ভাইরা ভাল বলতে পারবেন।
বাংলালিংক দামে নেট পাইসি কিনা সেটা এখনো জানি না। কারণ বাংলালিংককে ডাস্টবিনে ডাম্প করে দিয়েছি।
তবে নেট স্পিড চলে।
ভেরি ক্লিয়ার মানে? connecting... connecting... connecting...
জনাব, আপনি বুঝতে ভুল করেছেন। রবির দশা এখন শনিতে হলেও রবির কথায় বাঁধ না ভেঙে দাঁত ভাঙে। তবে, আমাদের নেট যে ভাল, এই দাবি তো আমরা করি নাই, নেটওয়ার্ক আর নেট তো এক বস্তু না হে হে...
পোস্টে থলের যেসব বিড়াল বেরিয়ে এল
বিটিসিএল এর নেট মোক্ষম (২ বছর আগের ঘটনা। )।
তারা রিজার্ভ ব্যান্ডউইথডও দিয়ে দেয় সবার মধ্যে বেটে। ফলে ১ এমবিতে ১২৮ কিলোবাইট স্পিড না পেয়ে আরো বেশি এমনকি দ্বিগুণ পাওয়া যাবার কথা শুনতে পাচ্ছি। চা পানির বন্দোবস্ত করার নিয়ম আছে। লাইন ভাল। নানা জিনিসপাতি কিনতে হয়।
কারেন্ট গেলে নেটও যায়।
আর বাকি বিড়াল উপরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।