রমজান মাস হলো ধৈর্য ও সংযমের মাস। এ মাসের গুরুত্ব অত্যধিক। রমজান এলেই একটা উৎসবের ভাব পরিলক্ষিত হয়। ইফতার, তারাবির নামাজ, সেহরি, ঈদের কেনাকাটা_ সব মিলিয়ে এক নির্মল আনন্দের উদ্দীপনা। তাই এ মাসে যেন আমরা সবাই সুস্থ থেকে রোজার সব বিধান মেনে চলতে পারি তার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
রমজানের খাদ্যাভ্যাস কী হওয়া উচিত এ বিষয়ে 'বাংলাদেশ সোসাইটি অব হাইপারটেনশন' এবং 'ধানম-ি ক্লি্লনিক প্রা. লি.' এ কর্মরত অভিজ্ঞ নিউট্রিশনিস্ট ইয়াসমিন আরার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন আমাদের প্রতিনিধি_ এস এম হাসান।
ভোর রাতের খাবার (সেহরি) গ্রহণের আগে যাদের ওষুধ খেতে হয় তারা কষ্ট করে একটু আগে ঘুম থেকে উঠে ওষুধ খেয়ে নিলে ভালো হয়। সেহরিতে পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। বেশি তেল চর্বির খাবার বর্জন আপনার শরীরে স্বাচ্ছন্দের কারণ হবে, আপনি আরাম বোধ করবেন। মাংসের পরিমাণটা কম করে নিন, মাছ ও শাক-সবজিকে প্রধান্য দিন।
ইফতারে ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি একটা মজাদার খাবার। এ খাবারে কম-বেশি সবাই অভ্যস্ত। তাই এ ব্যাপারে সবারই একটু সতর্ক হতে হবে। অবশ্যই বেশি পরিমাণে খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না। খেয়াল রাখুন এগুলো যেন প্রতিদিন নতুন তেলে তৈরি করা হয়।
অল্প তেল ব্যবহার করুন এবং বাসি-পোড়া তেল পরিহার করুন। ইফতারে লেবুর শরবত, ফল, বিশেষ করে খেজুর, ফলের সালাদ, শশা, টমেটো, গাজর, আপেল, আমড়া, আনারস, জাম্বুরা, পেয়ারা, পুঁদিনাপাতা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, লবণ, বিটলবণ ইত্যাদিকে প্রধান্য দেয়া যেতে পারে। জিরা দিয়ে ফলের সালাদ করা যায়। থাকতে পারে হালিম, নুডুলস ইত্যাদি। মাঝে মধ্যে ফিরনি অথবা দুধে ভিজানো চিড়া, সঙ্গে হালকা চিনি ও পাকা আমের টুকরো ইফতারে বৈচিত্র্য আনতে পারে।
সপ্তাহে এক দিন ইফতারে রাখুন হরেক রকম ভর্তাসহ ভুনা খিচুরি। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা ইফতারে পাকা পেঁপে ও ইসবগুল খেতে পারেন। তবে ইসবগুল ভিজিয়ে রাখবেন না। শুধু ইফতারেই নয়, ইফতারে পর থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিষয়টি ভুলে যাবেন না।
ইফতার পরবর্তী (সন্ধ্যা রাতের) খাবার বর্জন করতে চাইলে দুধ-কলা অথবা চিড়া-দই খেতে পারেন।
সন্ধ্যা রাতের খাবারটা একটু কম খেলেই ভালো।
ছোট বাচ্চারা রোজা রাখার বায়না ধরতে পারে; তাদের রোজা রাখার সুযোগ দিন। তবে প্রতিদিন সন্ধ্যা রাতের খাবারে কমপক্ষে এক গ্লাস দুধ ও সেহরিতে একটা কলা বাড়তি খাবার হিসেবে দিতে মায়েদের ভুল করলে চলবে না। বয়স্কদেরও দুধ খাওয়া প্রয়োজন। যাদের দুধ হজম হয় না, তারা দই অথবা ছানা খেতে পারেন।
[এই লেখাটি "দৈনিক ডেসটিনি" তে ১০.০৮.১১ তারিখে 'রমযান প্রতিদিন পাতা'য় প্রকাশিত হয়েছে] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।