পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রায়ের প্রসঙ্গ ধরে তার কাছে প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার সাজার বিষয়ে ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা নাক গলাচ্ছি না।
“তবে বিষয়টি নিয়ে (যুদ্ধাপরাধের বিচার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও আই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্বেগ আমাদের নজরে এসেছে। ”
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল জামায়াত।
পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে বাঙালিদের হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে জামায়াত নেতাদের ভূমিকা এখন আদালতে প্রমাণিত।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত সপ্তাহে গোলাম আযমকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
গোলাম আযম একাত্তরে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির ছিলেন। বিজয়ের আগ মূহূর্তে তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গোলাম আযমের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র শাখা সেদেশে বিক্ষোভ করেছে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গোলাম আযম ছাড়াও জামায়াতের বেশ কজন নেতার সাজা হয়েছে।
এর মধ্যে দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার।
জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ কয়েকজনের বিচার এখনো চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।