সত্য যে কঠিন, / কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,/ সে কখনো করে না বঞ্চনা।
সারাদেশের মত ব্লগেও যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি আশা করি এবং বিশ্বাসও করি যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে।
তবে আমার ধারনা জামাত-শিবির-সহযোগীরা সর্বোতোভাবে চেষ্টা করবে বিচার এড়াতে, বাধা দিতে, আইনী লড়াইয়ে জিততে। সফল হলে তো কথাই নেই আর বিফল হলে ওসব কুলাঙ্গারকে 'শহীদে'র মর্যাদা দিয়ে আপাতঃ ত্যাগ করে অনূকুল সময়ের জন্য ঘাপটি মেরে থাকবে।
এভাবে জামাত-শিবির সাময়িক পরিষ্কার হয়ে পুনরায় পুরোদমে মাঠে নামবে। জামাতের পরের সারির নেতারা বা শিবির এরকম কৌশলি কোরবানীর ব্যাপারে খুব একটা আপত্তি করবে না বলেই মনে হয়। দেশের বড়দলগুলিরও এক্ষেত্রে আপত্তি থাকার কারণ নেই। পরবর্তিতে ভোটের রাজনীতিতে জোট বাধা, সুবিধাজনক সময়ে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার, প্রয়োজনে বামপন্হা দমনসহ নানাকাজে লাগানো যাবে। শুধু কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকলেই চলবে।
ভাগ্যিস (!) জামাত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিলো, ফলে আমাদের সমালোচনার তীরও মূলতঃ এ ব্যাপারেই। কিন্তু আমরা ভেতরে তলিয়ে দেখতে চাই না যে, কোন আদর্শ-মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা চর্চার ফলশ্রুতিতে যুগে যুগে দেশে-দেশে নাৎসী নিও-নাৎসী, জায়নিষ্ট, খ্রিষ্টান ফালাঞ্জিষ্ট, শিবসেনা, জামাতের সৃষ্টি হয়েছিলো। কেন এরা ন্যায়-অন্যায়ের ফারাক্ করতে না পেরে জনগণের বিপক্ষেই অবস্হান নেয়।
ফলে যুদ্ধাপরাধের বিচার তো চাইই, সেই সাথে চাই যে আদর্শ-মূল্যবোধ এ ধরণের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের জন্ম দেয় তারও বিচার-বিশ্লেষণ এবং পরিশেষে চাই উন্নত রাজনীতি-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তাকে পরাস্ত করার মতো জনগণের রাজনৈতিক শক্তির উত্থান।
( রাজ মো, আশরাফুল হকের ছাগু বিরোধী ফাইটারদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি পোষ্টে মন্তব্যটি করেছিলাম, সেটিই পোষ্ট করলাম।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।