আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে

তি তি যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পুরো বাঙালি জাতি অসন্তুষ্ঠ। একটি কথা আবার মনে করিয়ে দিতে চাই, দেশ বিরোধী, এই সোনার বাঙলার শত্রুরা বাঙালিদের বাইরে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পর্কিত ব্যাপার নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। বাঙালিরা আবার গর্জে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য যে কোনো শাস্তি দেওয়া দেশের কলঙ্ক।

আমরা দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে বাঙলাদেশকে অপমান করছি। বাঙলাদেশ প্রতিটি মুহূর্তে ধর্ষণ হচ্ছে। বলতে-শুনতে খারাপ লাগলেও এটিই অপ্রিয় সত্য। যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা প্রধানমন্ত্রীর ভোট কামানোর একটি উপায়। প্রতিটি মিটিং, মিছিলে, সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে গর্ব করে।

শুধু শেখ হাসিনা নয়, প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী ভোট কামানোর জন্য বিভিন্ন উপায় বের করে। বর্তমান সরকারের ভোট কামানোর একটি উপায় যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা। আমরা ভালোভাবেই জানি, প্রধানমন্ত্রী যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার ভেতরে কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি রাখেন নি। বরং বিভিন্নভাবে বাঙলাদেশের জনগণদের প্রতারিত করছেন। একটি যুদ্ধাপরাধী দলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সব সময় সমর্থন করছে।

জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চেয়ে আবার যুদ্ধাপরাধী দলকে সমর্থন করছে। তিনি কি বাঙালি জাতির জনকের কন্যা? এই নিয়ে প্রশ্ন সব বাঙালির মনে থেকে যায়। যে মানুষটি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, সেই মানুষটির কন্যা দেশটিকে কীভাবে ধ্বংস করছে! বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং ট্রাইবুনাল ভেঙে দেওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে জামায়াত-শিবির হরতাল করছে। এই হরতালে সহযোগিতা করছে প্রধানমন্ত্রীসহ আইন রক্ষাবাহিনীরা।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করার দাবিতে জামায়াত-শিবিরকে কিছু বলা হচ্ছে না। সরকার চুপ, পুলিশ প্রশাসন চুপ। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে। বাঙলাদেশের সরকার বিভিন্ন কথা মুখে বলে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কথায়-ই রাখে না।

কারণ প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলে জনগণকে দুর্বল করছে। এটি শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার একটি উপায়। বর্তমান সরকার যদি আসলেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতো, তবে এ বিষয়ে আগে থেকেই কঠোর হতো। বর্তমান সরকারের উচিত ছিলো, জামায়াত-শিবির নামক যুদ্ধাপরাধী দলকে নিষিদ্ধ করা, প্রতিটি আইন রক্ষাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিলো জামায়াত-শিবির দেখা মাত্রই গুলি করা; জনগণকেও জামায়াত-শিবিরকে যেভাবে হোক প্রতিহত করার ক্ষমতা দেওয়া উচিত ছিলো। গতকাল একটি রায় হয়েছে।

একজন যুদ্ধাপরাধী কসাই, ধর্ষক, নরপিশাচের শাস্তি যদি কয়েক বছরের জেল হয়, তবে সেখানে প্রশ্ন থেকে যায়, একজন যুদ্ধাপরাধী, কসাই, ধর্ষক কি একজন সাধারণ ডাকাত, খুনীর মতো? যদি তাই-ই না হতো, তবে প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হতো না। অনলাইনে অর্থাৎ ব্লগে-ফেইসবুকে গতকালকের রায়ে সরকারকে অনেকে দোষী করছে না। যারা যুক্তিসঙ্গতভাবে সরকারকে দোষী করছে, তাদেরকে তারা গালি দিচ্ছে, মা-বাবা তুলেও কথা বলছে এবং বিভিন্ন উপাধীও দিচ্ছে। কারণ তারা আওয়ামী লীগান্ধ, সরকারান্ধ। সরকার, আওয়ামী লীগ খুন করলেও তাদের ভালো লাগবে, তারা সরকার, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে।

অবশ্যই এই রায়ের জন্য সরকার প্রধান দায়ী। কেউ যদি বলে, এই রায়ে সরকারের কোনো হাত নেই, তবে সে বিবেকান্ধ, সরকারান্ধ, দেশের শত্রু। কারণ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ মামলা করেছে। তাই এই বিচার হচ্ছে। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ কে? এই আওয়ামী লীগ বর্তমান সরকার।

সাধারণ একটি মানুষ কিংবা একটি দল বাদী হয়ে মামলা করলে এই কথাটি মেনে নেওয়া যেতো। কারণ পুরো আইন ব্যবস্থা তার কিংবা দলের কথা মানতো না। সরকার যেমন প্রতিটি দুর্নীতি, অন্যায়ের উৎস, তেমন সরকার দেশের সমস্ত ক্ষমতার উৎস। সরকারের কথা সবাইকে মানতে হবে। সরকার ২ দলের কাছে ভালো হওয়ার জন্য এমন একটি জঘন্য কাজ করেছে।

একদিকে একদলের কাছে ভালো থাকার জন্য যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি দিয়েছে, অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের এই অশান্তিপূর্ণ হরতাল সমর্থন করে এই শাস্তি দিয়েছে। ভোটও পাবে, আবার ২ দলের কাছে ভালোও থাকবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই যাবজ্জীবনের সাজা বাতিল করা হবে। তখন সে আর ২ আঙ্গুল দেখিয়ে বাঙালিদেরকে অপমান করবে না, সরাসরি দেশটি ধ্বংস করবে। এই কথাটি শুধুমাত্র একজন যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, প্রতিটি যুদ্ধাপরাধী, দেশবিরোধীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এবারের বিজয় দেশবিরোধীদের হয়েছে। বাঙালিরা হারে না। আমরা বাঙালি না। আমরা অন্ধ, অবাঙাল। আমাদের কাছে নিজের জীবনটিই বেশি মূল্যবান।

নিজের পেট চললেই হয়। নিজের মায়ের কথা ভাবি না। আমরা বাঙালি না। কারণ বাঙালিরা নিশ্চুপ করে থাকে না। ১ টি রায় দেওয়া হয়ে গেছে।

এবার প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীকে এই ধরণের শাস্তি দেওয়া হবে, এটুকু আমাদের নিশ্চিত ভেবে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির পিতার সন্তান না হতে পারে। কিন্তু আমরা বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতার সন্তান। গর্জে উঠে আমাদের দেশের, বাঙালি জাতির পিতার পিতৃত্বকে প্রমান দেই; প্রমাণ দেই আমাদের বাঙালিত্বকে। প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা হোক এবং তা বিলম্ব না করে অতি দ্রুত কার্যকর করা হোক; রায় যে কোনো দিন দেওয়ার নাম না করে বিচার কাজ শেষ করার পর পরই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক এবং তা অতি দ্রুত কার্যকর করা হোক।

যুদ্ধাপরাধী দল, দেশবিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করা হোক। এই সোনার বাঙলায় বাঙালি ছাড়া কোনো দেশবিরোধীদের ঠাঁই নাই। যে যেভাবে পারেন, প্রতিবাদ করতে থাকেন। প্রতিবাদ থামাবেন না। প্রতিবাদের শেষ নেই, প্রতিবাদ চলতেই থাকবে।

দেশটিকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। তাই গর্জে উঠুন। বিজয় আমাদের নিশ্চিত হবে। জয় বাঙলা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.