তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “ট্রাইব্যুনালের এই রায়ে দেশের মানুষের মতো আমরাও সংক্ষুব্ধ হয়েছি। আপিলের বিষয়টি আমরা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছি। ”
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৯০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এই রায়ে সংক্ষুব্ধ গণজাগরণ মঞ্চ আপিলের আহ্বান জানিয়ে শনিবার সরকারের প্রধান কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্মারকলিপি দেয়।
মাহবুবে আলমের অনুপস্থিতে স্মারকলিপি নিয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এক কে রহমান আপিলের বিষয়ে অবস্থান সাংবাদিকদের জানান।
গণজাগরণ মঞ্চসহ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সক্রিয় সংগঠনগুলো গোলাম আযমের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে।
এম কে রহমান বলেন, “এই রায়ে সরকার সন্তুষ্ট হলেও সেটা প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানগত মন্তব্য। এর সাথে আইনের বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত নয়। সার্বিক বিচার বিশ্লেষণের পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ”
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ইতোমধ্যে বলেছেন, প্রসিকিউশন চাইলে আপিল করতে পারে।
আপিল করতে হলে তা রায়ের এক মাসের মধ্যে করতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে গোলাম আযমের পক্ষে আপিল করা হবে বলে তার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।
প্রসিকিউশনকে স্মারকলিপি দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্টপক্ষ যদি শেষ পর্যন্ত অপিল না করে, তাহলে আমরা এই মামলার সংবাদদাতা ও অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সামনে রেখে আপিল করার চেষ্টা করব। ”
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ আপিল করতে পারবে না। তবে মামলায় অভিযোগকারীদের কেউ চাইলে তা করতে পারবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।