আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ এই স্টেলথ ব্লাক হকসের স্পেশাল সেন্সরস আছে যা এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা রেডার ওয়েভকে ফেরত পাঠাতে পারে আর শুষে নিতে পারে। ইঞ্জিন ইগজোস্ট্কে ঠান্ডা এবং রোটার ব্লেড নয়েজকে কমাতে পারে। এদের এক একটার দাম ছয় কোটি ডলার।
এই হেলিকপ্টারগুলো এ কাজের জন্যই বানানো হয়েছে, বলা যেতে পারে এগুলো একসট্রা স্পেশাল। একঘন্টা ওড়ার পর ব্লাক হকস দুটো বিন লাদেনের সন্দেহজনক বাসস্থানের কাছাকছি পৌঁছাল। সিনঅকস বেশ কিছুটা দুরে আক্রমনের অপেক্ষায় ঘুরতে লাগল। পরিকল্পনা অনুয়ায়ি একটি হেলিকপ্টার এই তিনতলা বাড়িটার উপর ঘুরতে ঘুরতে ফার্স্ট রোপের সাহায্যে ছাদের ওপর একটা টিম নামিয়ে দিবে। দ্বিতীয় হেলিকপ্টার আর একটা টিমকে মাটিতে নামিয়ে দিবে যারা বাড়িটার সামনে থেকে হানা দিবে।
তার মানে একটা দল নীচ থেকে উপরে যাবে আর আরেকটা দল উপর থেকে নীচে নামবে। এই ধরনের অপরেশনের এটাই সবচেয়ে ভাল পরিকল্পনা। এতে করে দু'দিক থেকেই শত্রুকে ফাঁদে ফেলা যায়।
কিন্তু পরিকল্পনা মতো কাজটা হলো না। একটা হেলিকপ্টারে গোলযোগ দেখা দিল এবং সেটা সজোরে নীচে নেমে এলো।
টেইলটা উঁচু পাচিঁলে আটকে গেল আর কোন উপায় নেই, হেলিকপ্টারটা আর উড়তে পারলো না।
ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট বলল এইভাবে ক্রাশ ল্যান্ডিং এর কারণ সম্ভাব্য তাপমাত্রার চেয়ে বেশী উষ্মতা, সেই সংগে বাড়ির চারপাশের দশ থেকে বার ফুট উঁচু পাঁচিল। রোটন ব্লেডস লিফট করার জন্য যে বাতাসকে ঠেলে নীচে নামাতে হয় তাতে বাধা দিচ্ছিল হয়তো এর পেছনে অন্য কোন কারণও ছিল। এটা হলো মডিফাইড ব্লাক হকস ফলে এটি ওড়ানো বেশ কঠিন। আসলে একটা থিওরী আছে যে, রাডার্স সারভাইলেন্স এর হাত থেকে বাঁচাতে এই ব্লাক হকের একটা স্পেশালী কোটেড স্পেশালী টিনটেড উইন্ডস্ক্রীন আছে যেটা রাতে প্রতিকুলতার সৃষ্টি করে তার জন্য নাইট ভিশন গগলস ব্যাবহার করা হয়।
এক মিনিটে মিশন হঠাৎই অসফল হবার পথে, এ যেন মোগাদিসুর ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাকে বলা হয় ব্লাক হক ডাউন। ইউএস স্পেশাল অপারেশনসের ইতিহাসে কুখ্যাত ব্লাক আই। ব্লাক হক ডাউন মিশন হয়েছিল অক্টোবর ০৩, ১৯৯৩ এ, ইউএস স্পেশাল টিম বেশ কয়েকটি দামী টার্গেটের পিছনে ধাওয়া করছিল। ওদরকে শহরের মধ্যেই গুলি করে নামানো হয়, সৈন্যরা তখন একা, চারিদিকে শত্রুরা ঘিরে ধরেছে, সকলকে বন্দী করা হলো। হোয়াইট হাউস সিসুয়েশনস রুমে ঐ ঘটনার স্মৃতি সবাইকে ভারাক্রান্ত করে তুলল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তার ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিম নিঃশব্দে ড্রোনস মারাফত ট্রান্সমিটেড অপারেশনসের লাইভ ভিডিও দেখতে লাগলেন। হোয়াইট হাউস সিআইএর ডিরেক্টর রিএন পেনেটার কাছ থেকে প্রতি মূহুর্তের পুঙ্খানু পুঙ্খ বিবরন জানতে পারছেন। কারণ তিনি সিআইএ হেড কোয়ার্টারসের ওয়ার্ল্ড রুম থেকে অপারেশনের প্রতিটি দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন আর তিনি সেই রূদ্ধশ্বাস খবরটা জানালেন।
যখন হেলিকপ্টারটা ঐ কম্পাউন্ডে নেমে আর উড়তে পারছিলো না সকলের প্লান মতো, মনে হচ্ছিল হোয়াইট হাউসের সকলের হৃদপিন্ডটা গলার কাছে আটকে গেছে।
প্রায় গত দশ বছরে এতটুকু কাছে কেউ কোন দিন যেতে পারেনি, ওসামা বিন লাদেনের এক ঝলকও কেউ দেখেনি।
অপারেশন হলো ওসামা বিন লাদেনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় গ্রেফতার করা। যদিও ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিমের সদস্যদের মতে বিন লাদেনকে জীবিত গ্রেফতার করার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সরকারী খবর অনুসারে এটা সম্পূন্যই এক হত্যা অভিযান, স্থানীয় সময় তখন ঠিক মাঝ রাত, সিইটিম সিক্স গন্তব্যে পৌঁছে গেছে পাকিস্তানের এ্যবোটাবাদ শহরে তিন হাজার স্কায়ারফুট কম্পাউন্ডে। তবে প্রথমেই একটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো যখন একটা ব্লাক হক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাঁচিলের সংগে ধাক্কা খেল। এদিকে হোয়াইহাউস সিসুয়েশনস রুমে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং তার বিশ্বস্থ উপদেষ্টারা অভিযানের প্রত্যেকটা পদেক্ষেপের প্রতি কড়া নজর রাখছেন।
পরিবেশ থমথমে; হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা কি শেষ পর্যন্ত বিন লাদেনকে ধরবার এতবড় সুযোগকে ধূলিস্যাৎ করে দিবে? মিলিটারী অপারেশনের পরিকল্পনা হয়তো কয়েক মাস ধরে চলছে কিন্তু এই অভিযানের প্রস্তুতি চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এমনকি নাইন ইলেভেনের অনেক আগে থেকেই বেশ কয়েকটি সরকারী সংস্থা প্রচুর প্রমান জড়ো করার কাজে ব্যস্ত। সিআইএ হেড কোয়াটার্র্স ল্যান্ডলি ভার্জিনিয়াতে কত অজানা বীর বিন লাদেনের সন্ধানে ডেটা বেসে নাম খুঁজে বেড়াচ্ছে। লিবস স্ট্রাক করছে সুত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে, তাদের দরকার উন্নত মানের ম্যাথামেটিক্যাল এলগরিদমস্ এসব মেটেরিয়াল থেকে সত্য উদঘটন করতে, এর মধ্যে থ্রেডটস্ কোনটা জানার জন্য, কোনটা বাতিল করবে আর কোনটা নিয়ে অনুসন্ধান চালাবে। তাছাড়াও দরকার প্রচুর লোক যারা এসব টুকরো টুকরো খবর গুলোকে, সূত্র গুলোকে এক সংগে গেঁথে তুলতে পারবে।
চলবে.......................... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।