মিথ্যার চেয়ে সত্য বলা কঠিন। এই কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছি এবং যাবো ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মের এক দুপুর। স্কুলের ছুটির পর সামনের টমেটু ক্ষেত রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। ক্লাশ টু এর ক এবং খ শাখার বাঁদর পুলাপাইনদের অভ্যন্তরীন কোন্দল যুদ্ধে মোড় নেয় । ক শাখার এক জন বীর সৈনিক মেজর ফয়সাল(আমি) বীর-বিক্রমে যুদ্ধ করে যাচ্ছি আশে-পাশে বোমার মত কাঁচা-পাঁকা টমেটু পড়ছে।
কয়েকটা গায়ে এসেও পড়েছে। আমি ইতিমধ্যে বিপক্ষ দলের গটা দশেক সৈন্যেকে গায়েল করেছি সবুজ কাঁচা টমেটু মেরে।
আমাদের এহেন কর্মকান্ডে প্রায় হার্ট-এটার্কে আক্রান্ত ক্ষেতের মালিক বিচার দিলেন প্রিন্সিপালের কাছে। বলা নেই কওয়া নেই হটাৎ জাতিসংঘ রূপে আবির্ভাব হয় জাদরেল ইংরেজি টিচার ফারুক স্যারের। উনি আমাদের পদমর্যাদার বিন্দুমাত্র দাম না দিয়ে কানে ধরে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন আমাদের কয়েকজনকে।
সাধারণ সৈন্যদের সামনে আমার ইজ্জত পুরাই ডুবে গেল যদিও ওরা তখন নিজেদের বাচাতে দুই পক্ষ একি ক্ষেতের মধ্যে পলায়মান ছিল। স্যার প্রথমে বেত দিয়ে আমাদের স্কুল ড্রেসে লেগে থাকা বালি পরিস্কার করলেন তারপর জোরপূর্বক আমাদের থেকে জবানবন্দি নিলেন আর কারা কারা এ যুদ্ধে শামিল ছিল।
পরদিন ক্লাশে স্যার একে একে সবাইকে আগের দিনের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন এমন সময় আমাদের এক সহপাঠী বলে উঠলো স্যার প্রাইভেট জায়গায় মারবেন না ব্যাথায় কাতর হলেও সবাই তার কথায় হেসে উঠেছিলাম। স্যারও হেসে উঠলেন। জিজ্ঞেস করলেন কেন?? ওর উত্তর বাসায় নিয়ে আম্মুকে দেখাতে পারবো না।
বি: দ্র: - আমাদের ক্লাশ টিচার সবার পিছনে বেত্রাঘাত করতে পছন্দ করতেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।