এই পৃথীবি আর ভাল লাগেনা চল আমরা চাঁদের দেশে চলে যাই সহায় সম্বালহীন পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় শিশু বয়সেই নিজের সম্ভ্রম বিসর্জন হতে হলো ৭ বছরের এক শিশুকে। সমাজ পতিদের কাছে তার সম্ভ্রমের মূল্য দাঁড়িয়েছে এক ল বিশ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের পেরিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের হতদরিদ্র এক নির্মান শ্রমিক সহকারী কন্যা গত শুক্রবার মায়ের রান্না কাজে সহযোগিতা করার জন্য লাক্রী (জ্বালানী কাঠ) কুড়াবার সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র অম্বরপুর আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাজমূল (১৪) তাকে লাক্রী দিবে বলে ডেকে বাগানে নিয়ে যায়। পরে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
রক্তাক্ত অব�'ায় চিকিৎকার করে রুবি বাড়িতে আসলে তার পরিবার তাকে দ্রুত চান্দিনা উপজেলা স্বা�'্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এখন পর্যন্ত রুবি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গতকাল সরেজমিনে রুবি�র বাড়িতে গেলে তার মা জানান, শুক্রবার আমার মেয়েকে পাষন্ড নাজমূল জোরপূর্বক এ অব�'া করে। �'ানীয় মেম্বারসহ অনেকে এসে �'ানীয় ভাবে সমাধান করে দিবে বলে মামলা না করার জন্য বলে।
পরবর্তীতে �'ানীয় মেম্বার মো. মফিজ খান, সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান মনু ও জলিল মাষ্টার �'ানীয়ভাবে বসে। কি�' আমার মেয়েকে যে পাষন্ড নাজমূল এমন অমানবিক নির্যাতন করে, তার কোন বিচার না করে আমাদেরকে এক ল বিশ হাজার টাকা দিবে বলেচিল। নাজমূল-এর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে �'ানীয় মেম্বার মফিজ খান ও জলিল মাষ্টারের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানায়, মূলত ঘটনাটি এলাকার মান সম্মানের বিষয়। তাই অন্য কোন ব্যব�'া গ্রহণ না করে রুবি�র চিকিৎসা খরচ ও আনুসাঙ্গিক বাবদ আমরা এক ল বিশ হাজার টাকা প্রদানের জন্য নাজমুলের পিতা ছিদ্দিক মিয়ার উপর রায় ঘোষনা করি।
তবে রুবি�র পরিবার কেন এখন পর্যন্ত টাকা পায়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, আমরা রায় করেছি কি�' সে না দিলে আমাদের কি করার আছে। এদিকে হতদরিদ্র রুবি�র পিতা মেয়ের চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমসীম খাচ্ছে।
এম ডি ইয়াছিন মিয়া
. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।