আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপন্ন যশোরে সহায় হলেন জাগরণকর্মীরা

দিনভর সভা সমাবেশে অভয়নগর ও মনিরামপুরে বিপন্ন মানুষের সহায়তায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন মঞ্চের কর্মীরা।

মণিরামপুর উপজেলার হাজরাইল ঋষিপল্লীতে ধর্ষিত তিন হিন্দু গৃহবধূকে সব আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের চিত্রা মোড়ে এক সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “ঋষিপল্লীর তিন গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ”

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে অভয়নগর, মনিরামপরসহ সারা দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় মঞ্চের রোড মার্চ।

ইমরান সরকার মালোপাড়ায় মঞ্চের উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “আমরা মালোপাড়া ঘুরে এসেছি। সেখানকার অধিবাসীরা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে কোনো  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। গণজাগরণ মঞ্চ নিজস্ব উদ্যোগে মালোপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দেবে।

“যার সব খরচ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বহন করবে। ”

মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, “আমরা অভয়নগরে মালোপাড়া ঘুরে দেখেছি, সেখানকার ১০টি পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০০টি পরিবার অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি পরিবারে ২০ হাজার টাকা এবং কম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেবে গণজাগরণ মঞ্চ। ”

ঢাকায় ফিরে দ্রুত এ সহায়তা পৌচ্ছে দেয়া হবে বলে জানান ইমরান।

যশোরের পর দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও গাইবান্ধায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ইমরান এইচ সরকার।

ঢাকায় ফিরে এই তিন জেলা সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানান তিনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ইমরান বলেন, “আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলের সঙ্গে পার্থক্য প্রমাণ করেছেন। এখন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি দিন। ”

যশোরের হিন্দুদের উপর নির্বাচনোত্তর হামলার পর একই জেলার মণিরামপুর উপজেলায় তিন গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাতে মণিরামপুর উপজেলার হাজরাইল ঋষিপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীদের ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘটনাটি এতদিন প্রকাশ না করলেও শুক্রবার থানায় অভিযোগ করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

এর আগে নির্বাচনের দিন (রোববার) যশোরের অভয়নগরের চাপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় অন্তত দেড়শ বাড়ির আসবাবপত্র, ঘরের চালা, ধান-গমের গোলাসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও তছনছ করা হয়।

পরে ৪/৫টি বাড়িতে আগুন দেয়া এবং বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ওই সময় ভয়ে মালোপাড়ার নারী-পুরুষ-শিশু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বাঁচে।

 

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, মাগুরা, জামালপুর, জয়পুরহাট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

শনিবার ঢাকা থেকে যাওয়া রোড মার্চকারীদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মালোপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা। গণজাগরণমঞ্চের সংগঠকদের জড়িতে ধরে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ইমরানের আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সি, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক এবেং যশোর গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক কাজী আবদুর রশিদ লাল।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.