পেশাদার খুনি থেকে শুরু করে স্কুলছাত্র সবার হাতেই এখন অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে এসব অস্ত্রের বড় চালান। ব্যবহার হচ্ছে কিলিং মিশন, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কোমলমতি কিশোরদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে অস্ত্র ব্যবহার ও ব্যবসায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, বিশ্ববিদ্যালয়, ছিনতাই ও বিভিন্ন অপরাধী কর্মকা- এসব অস্ত্র ভাড়া দেয়া হচ্ছে।
আর এ কাজে বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিক্ষুক, হিজড়া, টোকাই, রিকশাচালকসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরও। এমনকি কলেজপড়–য়া ছাত্রীর ব্যাগেও কৌশলে বহন করা হচ্ছে বলে জানা যায়। গত ২৮ জুলাই দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ স্কুলপড়–য়া ২ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে গেন্ডারিয়ায় বসবাসকারী একজনের নাম জনি, বাবার নাম আবুল হোসেন। অন্যজন দক্ষিণ সায়েদাবাদের রিফাত (শুভ), বাবা আরমান।
যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৪৯নং দয়াগঞ্জ (দয়াগঞ্জ সেলুন) শোভা মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে এ দুজনকে ৭.৬৫-এর ০৪ রাউন্ড গুলিভর্তি পিস্তলসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আসামিদের গ্রেফতারের আগে পুলিশের সাথে আসামিদের গুলি বিনিময় হয়। আসামি জনি এ প্রতিবেদককে জানায়, সে করাতিটোলা মেমোরিয়াল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। বাবা বাড়িতে অসুস্থ। রবিন নামক এক ভ- লোক তাকে ডেকে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির ভিতরে নিয়ে যায় এবং একটি বাক্স দিয়ে বলে ‘
এ জুতার বাক্সটা একটা চায়ের দোকানে দিয়ে এলে কিছু টাকা পাবে।
বাবা অসুস্থ থাকায় অভাবী ছাত্র জনি কিছু টাকার লোভে বাক্সটি বহন করে। এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। মামলা নং-৮৭, তারিখ : ২৮-০৭-১১ইং। মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, অস্ত্র ব্যবসার সাথে অন্য কারো সম্পৃক্ততা থাকলে, তাদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।