নিজের ছায়ার মতো, পদচিহ্নের মতো, শূন্যতার মতো একা হয়ে যাও
সুলেখা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচরিতাসু
চল্লিশের দশকে আপনি থাকতেন হাজরা রোডে। এখন কোথায় জানা নেই। রসা রোডের দিকে এগিয়ে এলে ডান দিকের একতলা সাদা বাড়িটায় টুনুরাও থাকতো মনে পড়ে? যদিওর সঙ্গে দেখা হয়, বলবেন, আমি এই বইটি ওর নামেই উৎসর্গ করেছি। আর আপনি যদি মনে করেন, একটু ঘুরিয়ে এ বই আমি আপনারই নামে উৎসর্গ করেছি, ভালো লাগবে তাও। তবে রিচি রোডে এসবের কিছুই জানাবেন না; জবাবদিহি করে হয়রান হয়ে যাব।
আপনার ছোটবোন শ্রীলেখা কে কিছু বলবেন কি বলবেন না সে ভাবনা আপনার। আর আমার স্ত্রীকে যা বলবার আমিই বুঝিয়ে বলবো। অবশ্য এত কথা যখন উঠছেই তখন কৈশরের জোবেদা,নূরজাহান,রমলা, আর প্রথম যৌবনের সেই সরু চেন শ্যামলা ঘাড়, আরো সেই যে কলেজের পথে প্রায় নিত্যসঙ্গী নাম না জানা শ্যামাঙ্গিনী এরাই বা... আসলে কি জানেন? এই উৎসর্গ ফুৎসর্গের ব্যাপারে যাওয়াই উচিৎ হয়নি।
আহসান হাবিবের প্রেমের কবিতা বইটির উৎসর্গ পাতা পড়ে না হেসে পারলাম না।
প্রেমের কবিতা বইটি প্রকাশিত হয়১৯৮১ সালে।
তিনি স্মৃতি থেকে মুছে ফেলেন নি কাউকেই এ কথাটিই চমৎকার করে বলেছেন। বইতে ছাব্বিশ টি কবিতা আছে। প্রতিটিই চমৎকার। এদের মাঝে আমার ভাল লাগার একটা কবিতার কথা বলি,
যে পায় সে পায়
তুমি ভাল না বসলেই বুঝতে পারি ভালবাসা আছে।
তুমি ভাল না বাসলেই ভালবাসা জীবনের নাম
ভালবাসা ভালবাসা বলে
দাঁড়ালে দু'হাত পেতে
ফিরিয়ে দিলেই
বুঝতে পারি ভালোবাসা আছে।
না না বলে ফেরালেই
বুঝতে পারি ফিরে যাওয়া যায় না কখনো।
না না বলে ফিরিয়ে দিলেই
ঘাতক পাখির ডাক শুনতে পাই চরাচরময়।
সুসজ্জিত ঘরবাড়ি
সখের বাগান
সভামঞ্চে করতালি
জয়ধ্বনি পুষ্পার্ঘ ইত্যাদি
সব ফেলে
তোমার পায়ের কাছে অস্তিত্ব লুটিয়ে দিয়ে
তোমাকে না পেলে, জানি
যে পায় সে পায়
কি অমুল্য ধন।
অনেক সুন্দর একটা কবিতা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।