Nothing ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাগুজে জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে : সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, শিক্ষা-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ব্যাংক-বীমা, শিল্প-বাণিজ্যসহ জীবনের সব ক্ষেত্রেই কাগজের ব্যবহার অপরিহার্য। অথচ এ কাগজেই চলছে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি। তাই এ কাগুজে জালিয়াতি রোধ না করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের অডিটোরিয়াম রুমে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস্ লি. ও এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে কাগুজে জালিয়াতি রোধ করত ডিজিটাল বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এড. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ট্রয় গ্রুপের এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান আর পেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকলে এসব সিকিউরিটিজ কোন কাজে আসবে না। তাই সবার আগে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, চোরাকারবারিরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাই তাদের দমনে আমাদের প্রযুক্তিগতভাবেই সামনের দিকে এগুতে হবে। সেমিনারে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে স্বাক্ষর থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের কাগুজে জালিয়াতি হচ্ছে।
এ জালিয়াতি শিক্ষিত সমাজকে এক অশুভ পরিনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য এসব জালিয়াতি রোধ করতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদেরকে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেমিনারে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, কাগুজে জালিয়াতির কারণে দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জালিয়াতি রোধের লক্ষ্যে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস্ লি. ২০০৯ সাল থেকে সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ও জাপানের কারিগরি সহায়তায় ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জের স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বমানের কর্মকা- দ্বারা সিকিউরিটি প্রিন্টিং সেক্টরে অভূত পূর্ব সুনাম অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক পার্টনার ট্রোই গ্রুপের এক্সক্লুসিভ মেশিনারি ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বর্তমানে দেশি-বিদেশি ব্যাংকের এমআইসিআর চেক এবং ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট মুদ্রিত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সার্টিফিকেটসহ ট্রান্সক্রিপ্টে নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য সংযোগপূর্বক মূল্যবান দলিলাদি নকল হওয়া থেকে নিরাপদ রেখে এসব প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস্ লি. গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি আরও বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও কাগজের সর্বাত্মক নিরাপত্তা তথা সর্বস্তরে কাগুজে জালিয়াতি রোধের লক্ষ্যে তারা আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তি সম্মত সিকিউরিটি পেপার উৎপাদন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বিশ্বমানের আধুনিক কোন সিকিউরিটি পেপার উৎপাদন ইন্ডাস্ট্রি নেই। তাই প্রয়োজনীয় সমস্ত সিকিউরিটি পেপার বিপুল পরিমাণের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানি করতে হয়।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার মূল্যমান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। এছাড়া এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং পেপার উৎপাদন ও প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।