কালের স্বাক্ষী তাহেদের গাড়ি.........................এবং তার ইতিহাস
ইঞ্জিন, আসন, চাকা—কোনো কিছুই আগের মতো নেই। কাঠামোটা এখনো টিকে আছে। তবে রং চটে গেছে, ধরেছে মরিচা। লক্ষ্মীপুর মডেল থানা চত্বরে ১০ বছর ধরে পড়ে আছে মাইক্রোবাসটি। এটি বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার আলামত।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাইক্রোবাসটি নতুন করে আবার থানায় আগত মানুষের নজর কাড়ছে। তাহেরপুত্র বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ড মওকুফের পর মামলার এই আলামতের মধ্যে এখন নতুন সন্ত্রাসের আলামত দেখছে এলাকার মানুষ। দিন কয়েক আগে নুরুল ইসলামের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলা এলাকার মানুষের এই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এই মাইক্রোবাসে চড়েই দাপিয়ে বেড়াতেন লক্ষ্মীপুরের বিতর্কিত আওয়ামী লীগের নেতা আবু তাহেরের বড় ছেলে ফাঁসির আসামি এ এইচ এম বিপ্লব, পালিত ছেলে আবদুল জব্বার লাবু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি খুন ও এক ডজনের বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এই মাইক্রোবাস ব্যবহূত হয়েছিল।
এই মাইক্রোবাস নিয়েই লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের নেতা মুনছুর আহমেদ ও আনোয়ার হোসেন জুলফুর দুই হাতের সব আঙুল কেটে ফেলেন তাহেরের বড় ছেলে বিপ্লব। সেই মামলায় তাঁর সাজাও হয়েছিল।
এবং গর্বিত তাহের...........
নিজের ছেলে বিপ্লবের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সাজা মওকুফ হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘বিপ্লবের নাম কে জানত, এখন সবাই তাকে চেনে। সে জেলা কমিটির (আ.লীগ) সদস্যও না। অথচ আজ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিরোধী নেতা, ড. কামাল, সুরঞ্জিত সেন, মোহাম্মদ নাসিম—সবার মুখে মুখে তার নাম।
টেলিভিশনে তাকে নিয়ে টক শো হচ্ছে। সে এখন জাতীয় নেতা। এক কোটি টাকা খরচ করেও এমন নাম পাওয়া যাবে না। ছেলেকে বলেছি, তুই এখন মরলেও আমি খুশি। ’
তাইলে হাসিনা আপা বিপ্লবকে এবার এমপি নমিনেশনটা দিয়ে দেন.......এর চেয়ে ভাল লোক আপনি আর কোথায় পাবেন!!!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।