আমি একজন সহজ সরল মানুষ। -----------
ভিক্ষা করেই চলেন বীরাঙ্গনা হাজেরা বেগম। স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বামী-সন্তান হারানো লক্ষ্মীপুরের বীরাঙ্গনা হাজেরা বেগমের মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলেনি।
জীবনের শেষ বেলায় চলাচলে অক্ষম হাজেরা বেগমকে দুমুঠো অন্ন জোগাতে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়। ৬৫ বছর বয়সী হাজেরা বেগমকে স্থানীয় অনেকেই চেনেন না।
তবে তার ওপর পাক হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক নির্মম নির্যাতনের ইতিহাস কারোরই অজানা নয়। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ১৬নং ইউনিয়নের শাখচর গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন হাজেরা বেগম। বেশ কম বয়সেই যশোরে মনির হোসেন নামে এক পুলিশ হাবিলদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। রাজাকারে যোগ দেওয়া নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মনির হোসেনের সঙ্গে তার ছোট ভাইয়ের ঝগড়া হয়। পরে মনির হোসেন স্ত্রী হাজেরা বেগম ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে লক্ষ্মীপুর চলে আসেন।
দিন তারিখ মনে না করতে পারলেও হাজেরা বেগম জানান, ঠিক সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুরের কাছাকাছি অর্থাৎ বাগবাড়ি মাদাম ব্রিজের কাছে এসে পৌঁছতেই পাক হানাদার বাহিনীর সামনে পড়েন। হাজেরা বেগমের সামনেই স্বামী মনির হোসেন ও দুই সন্তানকে উপর্যুপরি কয়েক রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে হাজেরা বেগমকে ধরে নিয়ে বটু চৌধুরীর বাড়ির পাকবাহিনীর ক্যাম্পে নেওয়া হয়। রাতে সেখানে তার ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায় হানাদার বাহিনী। প্রয়াত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের দয়ায় দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আছেন শাকচর গ্রামের চাল-চুলা ছাড়া ছোট্ট এই ভিটেতে।
চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা হাজেরা বেগমকে লাঠি ভর দিয়ে প্রতিদিনই অন্নের সন্ধানে বের হতে হয়।
Source ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।