কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি। স্বপন আহমেদ পরিচালিত প্রথম ছবি ‘লালটিপ’। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসেও এটিই প্রথম ছবি যেটি একই দিনে বিশ্বের ২৫টি দেশে মুক্তি পাবে। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ। এতে আমাদের দেশের শিল্পীরা যেমন অভিনয় করেছেন তেমনি আছেন ফ্রান্সের শিল্পীরাও।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্যারিস, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি গ্লিটজের সঙ্গে কথা বলেছেন ছবির কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক স্বপন আহমেদ।
লাল টিপের প্রতি বাঙালি নারীদের দুর্বলতা চিরায়ত। আর এই কারণেই নাকি ‘লালটিপ’ নাম দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা স্বপন আহমেদ। তবে ছবিটির নাম এরকম হওয়ার পেছনে আরো বড় একটি যুক্তি তার আছে।
তার ভাষ্যে, ‘সবচেয়ে বড় আর সুন্দর লালটিপটি পরে আছে ‘বাংলা মা’। জাতীয় পতাকায় সবুজ জমিনে যে লাল বৃত্ত আছে সেটাও লালটিপের মতোই একটি জ্বলজ্বলে সূর্য। সে জন্যই আমার প্রথম ছবির নাম রেখেছি ‘লালটিপ’। ’
‘লালটিপ’ ছবিটি নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায়। ছবিটির অধিকাংশ দৃশ্যের শুটিং করা হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
এতে সে দেশের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীও অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের পরিবেশকের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছবিটি প্রর্দশনের জন্য ফ্রান্সসহ আরো কয়েকটি দেশের পরিবেশকরাও যুক্ত হয়েছেন ছবিটির সঙ্গে। এটি নির্মাণের জন্য অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে যতো ধরনের সহায়তা দরকার হয় তার সবই করছে ফ্রান্স। সেই দিক বিবেচনা করে বলা যায়, এই ছবিটি দিয়েই আর্ন্তজাতিক বাজারে এই প্রথম প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। এ জন্যই বলা হচ্ছে ‘লালটিপ’ই বাংলাদেশের প্রথম আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র
আরো ছবি এবং বিস্তারিত এখানে দেখুন
সূত্রঃ সুখবর
মাঝে মাঝে মন চায় এই রকম বাংলা সিনেমার নায়ক হয়ে যাই! আশা করি ছবিটি ভাল মানের হবে।
শুভকামনা রইল স্বপন আহমেদের জন্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।