আমার বিদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে। দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি আজ আবার মিরপুরে ঘটেছে ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্রদের গণধোলাইয়ের ঘটনা! অবাক হওয়ার কিছুই নেই,যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে আবার মানুষের মানবাধিকার! ঘটনার সুত্রপাত বিহঙ্গ পরিবহনে(মিরপুর রুপনগর-আজিমপুর) রটের বাস। সিটি কলেজ স্টপেজ থেকে প্রতিদিনের মত ওরা ৩/৪ জন বন্ধু একসাথে বিহঙ্গ পরিবহনে ওঠে মিরপুর আসার জন্য। কন্টাক্টর ভাড়া নিতে আসায় তারা স্টুডেন্ট দাবি করে হাফ ভাড়া দেয় তবে কন্টাক্টর তা মানতে রাজি হয়নি এবং ভাড়াও নেয়নি রেগে চলে যায়! গাড়ি যখন টেকনিক্যাল পার হয়ে খালি হয়ে আসল তখন ওরা মোবাইলে কল করে নিয়ে আসে ভাড়াটে সন্ত্রাসী। ওরা এসেই ছা্ত্রদের উপর চড়াও হয়, ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই ওরা রক্তাক্ত! বাস থেকে চলন্ত অবস্থায় লাফিয়ে পড়ে আশ্রয় নেয় পাশ্ববর্তী কোয়াটারে তাতেও কাজ হয়নি হিংস্র পশুগুলো ওদের মেরে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে ওদের আইডি কার্ডগুলো নিয়ে যায় এবং ফিরে গিয়ে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট উল্টো বিচার দেয় যে ছাত্ররা নাকি তাদের গাড়ি ভাংচুর করেছে!!! ওরা নাকি এমনভাবেই গাড়ি ভাঙচুর করছে যে গাড়ি ভাঙতে ভাঙতে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে!!! এ ও কি মানা যায়? দুদিন আগে ছাত্রদের পিটিয়ে মেরে দেয়া হলো ডাকাতের অপবাদ আর আজ গাড়ি ভাংচুর! আপনারা যদি এই এইচএসসি পড়ুয়া ছাত্রদের সরাসরি দেখেন তবে বিশ্বাস ই হবেনা যে তারা কোন গাড়ি ভাংতে পারে আর বিশ্বাস হবে ই বা কি করে ওরা যে এখন হাসপাতালে প্রহর গুনছে বাড়ি ফেরার, সন্ত্রাসির উপাধি নিয়ে!!! এখন ওদের পাশে কে দাড়াবে ওরাতো ঢাকা ইউনিভার্সিটি/ঢাকা কলেজ/তেজগাও সরকারি কলেজের ছাত্র নয়।ওদের পাশে কে দাড়াবে??? মিডিয়ার বোধহয় এখন সোনিয়া গান্ধি বিষয়ক রিপোর্টগুলো এখন হিটলিস্টে সেখানে কি ঠাই পাবে এই ছোট্ট দুস্টমির খবরটি???? আপনাদের বিবেক কি বলে? কি করতে ইচ্ছে হচ্ছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে??? ওদের পাশে দারাবে কে???
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।